ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

কেশবপুরে ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে 

আজিজুর রহমান-কেশবপুর (যশোর):
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ৬১ বার পঠিত

কেশবপুরের ঐতিহ্য বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে। দেশের কোথাও এদের সেভাবে দেখা না গেলেও কেশবপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০০ কালো মুখো হনুমানের বসবাস রয়েছে।

জানা গেছে,উপজেলা পশু হাসপাতাল, ব্রক্ষকাটি, রামচন্দ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা,মধ্যকূল ও ভোগতী গ্রামে এদের বেশি বিচরণ।
পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশের কেশবপুরে ও ভারতের নদীয়া জেলাতে এ কালোমুখো ভবঘুরে হনুমানের বসবাস। সরকারের তরফ থেকে এদের খাবারের জন্য যে বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত অপ্রতুল।

তাই তাদের জীবন-জীবিকার জন্য খাবারের তাগিদে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হনুমানের প্রজনন আর গর্ভকালীন নিরাপত্তার জন্য নেই প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল। আবার চাহিদা অনুযায়ী খাবার না পেয়ে তারা ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। কথা বলতে না পারলেও হনুমানদের অনুভূতি শক্তি প্রায় মানুষের কাছাকাছি।
তাই কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে রয়েছে এদের সখ্যভাব। এরা মানুষের কাছ থেকে বাদাম, কলা, রুটি ইত্যাদি নিয়ে খায়।কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন,কিছুদিন আগে তাদের শহরে খাবারের জন্য লাফালাফি করতে গিয়ে  বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বড় হনুমান ও বাচ্চা মারা যায়।
এভাবে প্রায় সময় হনুমান বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। স্পর্শকাতর প্রাণী কালোমুখো হনুমান। এদেরও রয়েছে মানুষের মতো বুদ্ধি, রাগ-অভিমান কিংবা অভিযোগ। তাদেরকে কেউ কিছু বললে তারা দলবদ্ধভাবে থানায় গিয়ে সেটার অনুভূতি জানায়। এমন কি তারা বিচারের দাবিও জানায়।
 হনুমানদের সরকারিভাবে ঠিকমতো দেখভাল না করা, এদের সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়া, এদের প্রতি মানুষের অনিহার কারণে ও পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় এরা আজ বিলুপ্তের পথে। এছাড়া, অভয়ারণ্যের অভাবে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কেশবপুরের হনুমানের সংখ্যা দিনদিন কমছে যাচ্ছে।

ট্যাগস :

কেশবপুরে ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে 

আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

কেশবপুরের ঐতিহ্য বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে। দেশের কোথাও এদের সেভাবে দেখা না গেলেও কেশবপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০০ কালো মুখো হনুমানের বসবাস রয়েছে।

জানা গেছে,উপজেলা পশু হাসপাতাল, ব্রক্ষকাটি, রামচন্দ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা,মধ্যকূল ও ভোগতী গ্রামে এদের বেশি বিচরণ।
পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশের কেশবপুরে ও ভারতের নদীয়া জেলাতে এ কালোমুখো ভবঘুরে হনুমানের বসবাস। সরকারের তরফ থেকে এদের খাবারের জন্য যে বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত অপ্রতুল।

তাই তাদের জীবন-জীবিকার জন্য খাবারের তাগিদে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হনুমানের প্রজনন আর গর্ভকালীন নিরাপত্তার জন্য নেই প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল। আবার চাহিদা অনুযায়ী খাবার না পেয়ে তারা ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। কথা বলতে না পারলেও হনুমানদের অনুভূতি শক্তি প্রায় মানুষের কাছাকাছি।
তাই কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে রয়েছে এদের সখ্যভাব। এরা মানুষের কাছ থেকে বাদাম, কলা, রুটি ইত্যাদি নিয়ে খায়।কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন,কিছুদিন আগে তাদের শহরে খাবারের জন্য লাফালাফি করতে গিয়ে  বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বড় হনুমান ও বাচ্চা মারা যায়।
এভাবে প্রায় সময় হনুমান বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। স্পর্শকাতর প্রাণী কালোমুখো হনুমান। এদেরও রয়েছে মানুষের মতো বুদ্ধি, রাগ-অভিমান কিংবা অভিযোগ। তাদেরকে কেউ কিছু বললে তারা দলবদ্ধভাবে থানায় গিয়ে সেটার অনুভূতি জানায়। এমন কি তারা বিচারের দাবিও জানায়।
 হনুমানদের সরকারিভাবে ঠিকমতো দেখভাল না করা, এদের সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়া, এদের প্রতি মানুষের অনিহার কারণে ও পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় এরা আজ বিলুপ্তের পথে। এছাড়া, অভয়ারণ্যের অভাবে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কেশবপুরের হনুমানের সংখ্যা দিনদিন কমছে যাচ্ছে।