কেশবপুরে ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে
- আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ৬১ বার পঠিত
কেশবপুরের ঐতিহ্য বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বিলুপ্তির পথে। দেশের কোথাও এদের সেভাবে দেখা না গেলেও কেশবপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০০ কালো মুখো হনুমানের বসবাস রয়েছে।
জানা গেছে,উপজেলা পশু হাসপাতাল, ব্রক্ষকাটি, রামচন্দ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা,মধ্যকূল ও ভোগতী গ্রামে এদের বেশি বিচরণ।
পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশের কেশবপুরে ও ভারতের নদীয়া জেলাতে এ কালোমুখো ভবঘুরে হনুমানের বসবাস। সরকারের তরফ থেকে এদের খাবারের জন্য যে বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত অপ্রতুল।
তাই তাদের জীবন-জীবিকার জন্য খাবারের তাগিদে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হনুমানের প্রজনন আর গর্ভকালীন নিরাপত্তার জন্য নেই প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল। আবার চাহিদা অনুযায়ী খাবার না পেয়ে তারা ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। কথা বলতে না পারলেও হনুমানদের অনুভূতি শক্তি প্রায় মানুষের কাছাকাছি।
তাই কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে রয়েছে এদের সখ্যভাব। এরা মানুষের কাছ থেকে বাদাম, কলা, রুটি ইত্যাদি নিয়ে খায়।কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন,কিছুদিন আগে তাদের শহরে খাবারের জন্য লাফালাফি করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বড় হনুমান ও বাচ্চা মারা যায়।
এভাবে প্রায় সময় হনুমান বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। স্পর্শকাতর প্রাণী কালোমুখো হনুমান। এদেরও রয়েছে মানুষের মতো বুদ্ধি, রাগ-অভিমান কিংবা অভিযোগ। তাদেরকে কেউ কিছু বললে তারা দলবদ্ধভাবে থানায় গিয়ে সেটার অনুভূতি জানায়। এমন কি তারা বিচারের দাবিও জানায়।
হনুমানদের সরকারিভাবে ঠিকমতো দেখভাল না করা, এদের সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়া, এদের প্রতি মানুষের অনিহার কারণে ও পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় এরা আজ বিলুপ্তের পথে। এছাড়া, অভয়ারণ্যের অভাবে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কেশবপুরের হনুমানের সংখ্যা দিনদিন কমছে যাচ্ছে।