ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ পাইকগাছার গদাইপুরে গনশুনানী অনুষ্ঠিত জনগণের আস্থা পেলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ টঙ্গি ইজতেমা হামলার প্রতিবাদে হিলিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ৩১দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চারঘাটে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ইসরাইল, সম্পাদক সুজন খানসামায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নওগাঁয় মাদকবিরোধী ফুটবল প্রতিযোগিতায় সদর একাদশ বিজয়ী যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনা: একজন নিহত গোয়ালন্দ বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

রফিকুল ইসলাম রনজু- কুড়িগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৮৬ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি বন্দি রয়েছে ১৫হাজার মানুষ ও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ফের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে।

এরই মধ্যে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নারপট, বাতাসু কাজলডাঙ্গা,হাতিয়াবকশি, নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়ারচর ও চরখেদাইমারী এলাকা সমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ,অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চরমুদাফৎ কালিকাপুর,হাসানেরচর,নটারকান্দি,ছালিপাড়া,যুগ্মিদহ,খোদ্দবাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বড়ভিটারচর, ৭২এরচর,চরউদনা,নয়াবশ,মজারটারী,বাগানবাড়ী ও দক্ষিণ খামার এলাকাসমুহের প্রায় ১হাজার ৫শতাধিক মানুষ,রমনা ইউনিয়নের গুরাতিপাড়া,ব্যাঙমারা, ব্যাপারীপাড়া,হরিনেবন্দ,গরুহাটি,উত্তর রমনা,মাঝি পাড়া,ঝালোপাড়া,ভরটÍপাড়া ও নালারপাড় এলাকাসমুহের প্রায় ৪হাজার মানুষ,থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা, ফকিরপাড়া,নামাচর, হাটখোলা, নামাটারী, ডেমনারপাড়া,আকন্দপাড়া,মাঝস্থল,নয়াবাড়ী,ফকিরেরকুটি,মজিদেরপাড়,হাটিথানা,বহরেরভিটা ও ফকিরেরভিটা এলাকাসমুহের প্রায় ৫হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষসহ প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ধান,বীজ তলা ৫৫হেক্টর জমি ও শাক সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ২হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী,থানাহাট ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার আ. রহমান,মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান,প্রথম দফায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার চারা কিনে রোপন করেছিলাম সেগুলোও গত ৭দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে যেতে আরও সময় লাগবে ততদিনে রোপা আমনের চারা জীবিত থাকবে না। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশাল ক্ষতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার জোবায়ের হোসাইন জনি জানায়,গত ২৪ঘন্টা ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি দীর্ঘ সময় স্থির থাকার পর ১সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩সে.মি.নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান, উপজেলায় মোট ৫হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল যার মধ্যে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ৫৫হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৮হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সব্জি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষতি নিরুপন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি বন্দি রয়েছে ১৫হাজার মানুষ ও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ফের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে।

এরই মধ্যে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নারপট, বাতাসু কাজলডাঙ্গা,হাতিয়াবকশি, নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়ারচর ও চরখেদাইমারী এলাকা সমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ,অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চরমুদাফৎ কালিকাপুর,হাসানেরচর,নটারকান্দি,ছালিপাড়া,যুগ্মিদহ,খোদ্দবাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বড়ভিটারচর, ৭২এরচর,চরউদনা,নয়াবশ,মজারটারী,বাগানবাড়ী ও দক্ষিণ খামার এলাকাসমুহের প্রায় ১হাজার ৫শতাধিক মানুষ,রমনা ইউনিয়নের গুরাতিপাড়া,ব্যাঙমারা, ব্যাপারীপাড়া,হরিনেবন্দ,গরুহাটি,উত্তর রমনা,মাঝি পাড়া,ঝালোপাড়া,ভরটÍপাড়া ও নালারপাড় এলাকাসমুহের প্রায় ৪হাজার মানুষ,থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা, ফকিরপাড়া,নামাচর, হাটখোলা, নামাটারী, ডেমনারপাড়া,আকন্দপাড়া,মাঝস্থল,নয়াবাড়ী,ফকিরেরকুটি,মজিদেরপাড়,হাটিথানা,বহরেরভিটা ও ফকিরেরভিটা এলাকাসমুহের প্রায় ৫হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষসহ প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ধান,বীজ তলা ৫৫হেক্টর জমি ও শাক সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ২হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী,থানাহাট ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার আ. রহমান,মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান,প্রথম দফায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার চারা কিনে রোপন করেছিলাম সেগুলোও গত ৭দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে যেতে আরও সময় লাগবে ততদিনে রোপা আমনের চারা জীবিত থাকবে না। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশাল ক্ষতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার জোবায়ের হোসাইন জনি জানায়,গত ২৪ঘন্টা ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি দীর্ঘ সময় স্থির থাকার পর ১সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩সে.মি.নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান, উপজেলায় মোট ৫হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল যার মধ্যে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ৫৫হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৮হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সব্জি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষতি নিরুপন করা হয়নি বলে জানা গেছে।