ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

রফিকুল ইসলাম রনজু- কুড়িগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৬৫ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি বন্দি রয়েছে ১৫হাজার মানুষ ও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ফের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে।

এরই মধ্যে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নারপট, বাতাসু কাজলডাঙ্গা,হাতিয়াবকশি, নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়ারচর ও চরখেদাইমারী এলাকা সমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ,অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চরমুদাফৎ কালিকাপুর,হাসানেরচর,নটারকান্দি,ছালিপাড়া,যুগ্মিদহ,খোদ্দবাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বড়ভিটারচর, ৭২এরচর,চরউদনা,নয়াবশ,মজারটারী,বাগানবাড়ী ও দক্ষিণ খামার এলাকাসমুহের প্রায় ১হাজার ৫শতাধিক মানুষ,রমনা ইউনিয়নের গুরাতিপাড়া,ব্যাঙমারা, ব্যাপারীপাড়া,হরিনেবন্দ,গরুহাটি,উত্তর রমনা,মাঝি পাড়া,ঝালোপাড়া,ভরটÍপাড়া ও নালারপাড় এলাকাসমুহের প্রায় ৪হাজার মানুষ,থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা, ফকিরপাড়া,নামাচর, হাটখোলা, নামাটারী, ডেমনারপাড়া,আকন্দপাড়া,মাঝস্থল,নয়াবাড়ী,ফকিরেরকুটি,মজিদেরপাড়,হাটিথানা,বহরেরভিটা ও ফকিরেরভিটা এলাকাসমুহের প্রায় ৫হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষসহ প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ধান,বীজ তলা ৫৫হেক্টর জমি ও শাক সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ২হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী,থানাহাট ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার আ. রহমান,মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান,প্রথম দফায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার চারা কিনে রোপন করেছিলাম সেগুলোও গত ৭দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে যেতে আরও সময় লাগবে ততদিনে রোপা আমনের চারা জীবিত থাকবে না। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশাল ক্ষতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার জোবায়ের হোসাইন জনি জানায়,গত ২৪ঘন্টা ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি দীর্ঘ সময় স্থির থাকার পর ১সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩সে.মি.নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান, উপজেলায় মোট ৫হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল যার মধ্যে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ৫৫হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৮হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সব্জি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষতি নিরুপন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি বন্দি রয়েছে ১৫হাজার মানুষ ও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ফের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে।

এরই মধ্যে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নারপট, বাতাসু কাজলডাঙ্গা,হাতিয়াবকশি, নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়ারচর ও চরখেদাইমারী এলাকা সমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ,অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চরমুদাফৎ কালিকাপুর,হাসানেরচর,নটারকান্দি,ছালিপাড়া,যুগ্মিদহ,খোদ্দবাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসমুহের প্রায় ২হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বড়ভিটারচর, ৭২এরচর,চরউদনা,নয়াবশ,মজারটারী,বাগানবাড়ী ও দক্ষিণ খামার এলাকাসমুহের প্রায় ১হাজার ৫শতাধিক মানুষ,রমনা ইউনিয়নের গুরাতিপাড়া,ব্যাঙমারা, ব্যাপারীপাড়া,হরিনেবন্দ,গরুহাটি,উত্তর রমনা,মাঝি পাড়া,ঝালোপাড়া,ভরটÍপাড়া ও নালারপাড় এলাকাসমুহের প্রায় ৪হাজার মানুষ,থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা, ফকিরপাড়া,নামাচর, হাটখোলা, নামাটারী, ডেমনারপাড়া,আকন্দপাড়া,মাঝস্থল,নয়াবাড়ী,ফকিরেরকুটি,মজিদেরপাড়,হাটিথানা,বহরেরভিটা ও ফকিরেরভিটা এলাকাসমুহের প্রায় ৫হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষসহ প্রায় ১৫হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ধান,বীজ তলা ৫৫হেক্টর জমি ও শাক সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ২হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী,থানাহাট ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার আ. রহমান,মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান,প্রথম দফায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার চারা কিনে রোপন করেছিলাম সেগুলোও গত ৭দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে যেতে আরও সময় লাগবে ততদিনে রোপা আমনের চারা জীবিত থাকবে না। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশাল ক্ষতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার জোবায়ের হোসাইন জনি জানায়,গত ২৪ঘন্টা ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি দীর্ঘ সময় স্থির থাকার পর ১সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩সে.মি.নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান, উপজেলায় মোট ৫হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল যার মধ্যে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ৫৫হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৮হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সব্জি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত ফসলের ক্ষতি নিরুপন করা হয়নি বলে জানা গেছে।