শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ'র ঠিকাদার জয়নাল ও তার অপর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। জয়নালের বিরুদ্ধে এর আগে থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার মধ্য বয়ড়ার সামসুল হকের ছেলে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার জয়নাল (৪২) দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার এক কিশোরী ও কলেজ ছাত্রীকে কলেজে যাতায়াতের পথে উত্যক্ত করে আসছে। একইসাথে কিশোরীকে নানা কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি প্রদান করে। ওই কিশোরী ময়মনসিংহে তার চাচার বাসায় গেলে ময়মনসিংহের পুলিশ লাইন উত্তরা আঁচল স্কুলের নিকট থেকে জয়নাল ও তার সহযোগী শেরপুর শহরের নবীনগর মহল্লার ওয়াজকুরুনী শিশির, মাছপাড়ার সিদরাতুল মুনতাহা মিমকি, নালিতাবাড়ীর রবিউল ইসলাম গত ২ ফেব্রুয়ারী অপহরণ করে নিয়ে যায়। একইসাথে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ শিশির, সিদরাতুল মুনতাহা মিমকি ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। প্রধান আসামি জয়নালকে পুলিশ খুজছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুবায়ের খালেদ জানান, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধান আসামিকে খোঁজছি। আশাকরি সে এই অপরাধ থেকে রেহাই পাবেনা।