রাজবাড়ীর কালুখালীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্রের দুটি গুলি ও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. জামির হোসেন জয়। তিনি ইউনিয়নের হাটগ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি ও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়র্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু জাফর খানের নেতৃত্বে ও তার ছেলে বাপ্পি সহ প্রায় ৩০ জন এ হামলা চালায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপাত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু জাফর খানের সমর্থকেরা মঙ্গলবার সকালে জামিরের এক সমর্থক সুমন প্রামানিককে মারধর করে ইউপি সদস্য জাফর খানের ছেলে হাসিবুর রহমান ওরফে বাপ্পী। মারধরের পর জাফর উপজেলা পরিষদে এসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান চৌধুরীকে অবহিত করেন। জাফর চেয়ারম্যানের কক্ষ থেকে বের হলে ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে তাকে ধাওয়া দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জাফরের নেতৃত্বে জামিরের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের দুটি পরিত্যক্ত গুলি, তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে আবু জাফর খানকে প্রধান আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন জামির হোসেন।
জামির হোসেন বলেন, কালুখালীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত। আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের গ্রুপে রাজনীতি করি। সোমবার আমরা শান্তি সমাবেশ করি। সমাবেশে আসার সময় জাফর মেম্বারের লোকজন বাধা দেয়। পরের দিন আমাদের একজনকে মারধর করে। আরেকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গতরাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এলাকায় এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
আবু জাফর খান বলেন, আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমার ওপরও হামলা করা হয়েছে। আমার ছেলের ওপর হামলার বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তারা নাটক সাজিয়েছে।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দলীয় বিষয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা তৎপর আছি। এলাকায় এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।