ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

কালুখালীতে নির্মাণাধীন সড়কে ধস, এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ

মো: শামীম হোসেন-পাংশা (রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ ১২৬ বার পঠিত

রাজবাড়ীর কালুখালীতে নির্মাণাধীন একটি সড়কের একাধিক স্থানে ধস নেমেছে। উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী। নদী অঞ্চলের এ সড়ক নির্মাণের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

জানা যায়, উপজেলার মধ্যে এটি একটি বণ্য কবলিত এলাকা। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার বাঘলপুর, পূর্ব হরিণ বাড়িয়া, সালেপুর, লস্করদিয়া, হরিণাডাঙ্গা, চর-রাজপুর, বিজয় নগর, মাধবপুর, কেষ্টপুর ও হঠাৎপাড়া গ্রামের মানুষের উপজেলা ও কালুখালী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি তলিয়ে যায়। তখন গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। জন্মলগ্ন থেকেই এই সড়কটি পাকা করণের প্রত্যাশা তাদের। তাদের প্রত্যাশা পুরণে মাধবপুর বাজার সংলগ্নে ৯৬ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশে ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, সেতু সহ সেতুর দুই পাশের সড়ক আরও উচু করে করার কথা ছিলো। যতটুক পরিমান উচু করার কথা তা করা হয়নি। অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে দেওয়ার কথা। তা না করে সদ্য নির্শিত সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তলন করে সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সেতুটি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অন্য স্থান থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশে দেওয়ার কথা। তা না করে রাস্তার দুই পাশে গভীর করে বালু উত্তোলন করে রাস্তার দুই পাশে ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ২৫-৩০ ফিট উচু। রাস্তার দুই পাশে প্যলাসাইড দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুই পাশে একাধিক স্থানে ধসে গেছে। রাস্তাটি নির্ধারিত পরিমাণ উচু করা হয়নি। তারা আরও জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার বলেও কোন ফল পাইনি তারা। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অরুনগঞ্জ জিসি হতে ক্যন্টরমেন্ট রোর্ডর মাধবপুর বাজারের ৯৬ মিটার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৯৬ মিটারের একটি সেতু ও ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি করছে মেসার্স কামারজানি ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজটি সম্পাদনের কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সঞ্জীবন সাহা বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার আগে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে দেব। সদ্য নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এলাকার যাতায়াতের ব্যবস্থ ভালো না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারেননি বলে জানান তিতি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ঔ এলাকার একটি মহল এই কাজের শুরু থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ড্রিষ্টাব করছে। স্থানীয়রা অনেক সময় না জেনেই বিভিন্ন অভিযোগ করে থাকে। এটি অনেক বড় একটি প্রজেক্ট। এখানে আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসেছে এবং আগামীতেও আসবে। অতএব এখানে আমাদের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।

কালুখালীতে নির্মাণাধীন সড়কে ধস, এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

রাজবাড়ীর কালুখালীতে নির্মাণাধীন একটি সড়কের একাধিক স্থানে ধস নেমেছে। উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী। নদী অঞ্চলের এ সড়ক নির্মাণের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

জানা যায়, উপজেলার মধ্যে এটি একটি বণ্য কবলিত এলাকা। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার বাঘলপুর, পূর্ব হরিণ বাড়িয়া, সালেপুর, লস্করদিয়া, হরিণাডাঙ্গা, চর-রাজপুর, বিজয় নগর, মাধবপুর, কেষ্টপুর ও হঠাৎপাড়া গ্রামের মানুষের উপজেলা ও কালুখালী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি তলিয়ে যায়। তখন গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। জন্মলগ্ন থেকেই এই সড়কটি পাকা করণের প্রত্যাশা তাদের। তাদের প্রত্যাশা পুরণে মাধবপুর বাজার সংলগ্নে ৯৬ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশে ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, সেতু সহ সেতুর দুই পাশের সড়ক আরও উচু করে করার কথা ছিলো। যতটুক পরিমান উচু করার কথা তা করা হয়নি। অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে দেওয়ার কথা। তা না করে সদ্য নির্শিত সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তলন করে সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সেতুটি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অন্য স্থান থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশে দেওয়ার কথা। তা না করে রাস্তার দুই পাশে গভীর করে বালু উত্তোলন করে রাস্তার দুই পাশে ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ২৫-৩০ ফিট উচু। রাস্তার দুই পাশে প্যলাসাইড দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুই পাশে একাধিক স্থানে ধসে গেছে। রাস্তাটি নির্ধারিত পরিমাণ উচু করা হয়নি। তারা আরও জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার বলেও কোন ফল পাইনি তারা। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অরুনগঞ্জ জিসি হতে ক্যন্টরমেন্ট রোর্ডর মাধবপুর বাজারের ৯৬ মিটার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৯৬ মিটারের একটি সেতু ও ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি করছে মেসার্স কামারজানি ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজটি সম্পাদনের কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সঞ্জীবন সাহা বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার আগে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে দেব। সদ্য নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এলাকার যাতায়াতের ব্যবস্থ ভালো না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারেননি বলে জানান তিতি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ঔ এলাকার একটি মহল এই কাজের শুরু থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ড্রিষ্টাব করছে। স্থানীয়রা অনেক সময় না জেনেই বিভিন্ন অভিযোগ করে থাকে। এটি অনেক বড় একটি প্রজেক্ট। এখানে আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসেছে এবং আগামীতেও আসবে। অতএব এখানে আমাদের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।