গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পেটানোর রেষ কাটতে না কাটতেই কমিটির সদস্যদের পাগল-ছাগল বলে সমালোচলনার মুখে পড়েছেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা। বিষয়টি ইতোমধ্যে গোমতি ছাড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
জানা গেছে, গেল ২২ মার্চ গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান, অভিভাবক সমাবেশ,নবীন বরণ, এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা, ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় কমিটির সদস্যদের পাগল-ছাগল উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমিটির সদস্যদের যখন তখন স্কুলে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দাবী করে সভাপতি মো. শামছুল হকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এসময় মঞ্চে পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, পিএসসি, গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল হুদা বলেন, " মাঝে মধ্যে পাতিল দুইটা এক জায়গায় থাকলে বাড়ি লাগে এখানে একটা কিছু হয়, সাধারণ একটা অইলে ফেসবুকে লাইভ, আমার এক সম্মানিত সদস্য যেকোনো মুহুর্তে ঠোস করে স্কুলে আসবো আইসা লাইভ দিয়া দিবো, আমার স্টোর রুমে লাইভ দিয়া দিছে, স্টোর রুম। যে আমরা ঐখানে ছেলে মেয়েদের ভাত খাওয়াই দুঃখজনক, তো আমি মাননীয় আমার সম্মানিত সদস্য আমার মেয়র কাকার কাছে অনুরোধ করবো এই সমস্ত পাগল, ছাগল যাতে আমার স্কুলে ডুকতে না পারে সেই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিবেন এইভাবে স্কুল চালানো যায়না"।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যটি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।