ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

উপজেলা চত্ত্বরে প্রবেশ করায় ১৭ ঘন্টা মুরগী আটক রাখার অভিযোগ ইউএনও’র বিরিদ্ধে

মোঃ ওয়াজ কুরনী-দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০৩ বার পঠিত

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুরগী প্রবেশ করায় কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগি আটকে রাখলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
প্রায় ১৭ ঘন্টা আটকে রাখার পর মালিককে অফিসে ডেকে এনে অপমান করে মুরগি ছেড়ে দেবার অভিযোগ নির্বাহী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা দুঃখজনক উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুনের।তবে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে এমন উদ্যোগ বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

গেলো সোমবার (২৭শে নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায়।ওই দিন বিকেলে মুরগিটি আটক করা হয় তবে পরেরদিন মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে মালিককে মুরগি দেওয়া হয়।

মুরগীর মালিক মাকছুদা বলেন, গত সোমবার বিকেলে মুরগী ধরে বেঁধে রাখেন ইউএনও এবং কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগীর মালিককে খুঁজে বেড় করেন আমাকে। এছাড়াও পরেরদিন ইউএনও অফিসে আমাকে দেখা করে মুরগী আনতে বলেন। আমি উপজেলায় গেলে মুরগী কেন পরিষদে আসে, এই বলে অপমান করেন ইউএনও।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা চত্বরে যেন ভবিষ্যতে আপনার মুরগী প্রবেশ না করে এবং প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নিবো, আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একদিন আমার মুরগীটি আটকে রেখেছিলেন এই ইউএনও। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।

উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ের পিয়ন লাভলী বেগম বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে মুরগীটা আটকে রাখা হয়েছিলো।

জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, হ্যাঁ আমি মুরগীর মালিককে ডেকেছিলাম, উপজেলা পরিষদের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্যই। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি তাদের উপজেলা পরিষদে মুরগী প্রবেশে জন্য নিরুৎসাহিত করেছি মাত্র।

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বিষয়টি ছোট, তবে দুঃখজনক। মুরগীর মালিক সহ মহল্লাবাসী আমার নিকট এসেছিলেন। আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবো।

উপজেলা চত্ত্বরে প্রবেশ করায় ১৭ ঘন্টা মুরগী আটক রাখার অভিযোগ ইউএনও’র বিরিদ্ধে

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুরগী প্রবেশ করায় কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগি আটকে রাখলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
প্রায় ১৭ ঘন্টা আটকে রাখার পর মালিককে অফিসে ডেকে এনে অপমান করে মুরগি ছেড়ে দেবার অভিযোগ নির্বাহী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা দুঃখজনক উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুনের।তবে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে এমন উদ্যোগ বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

গেলো সোমবার (২৭শে নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায়।ওই দিন বিকেলে মুরগিটি আটক করা হয় তবে পরেরদিন মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে মালিককে মুরগি দেওয়া হয়।

মুরগীর মালিক মাকছুদা বলেন, গত সোমবার বিকেলে মুরগী ধরে বেঁধে রাখেন ইউএনও এবং কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগীর মালিককে খুঁজে বেড় করেন আমাকে। এছাড়াও পরেরদিন ইউএনও অফিসে আমাকে দেখা করে মুরগী আনতে বলেন। আমি উপজেলায় গেলে মুরগী কেন পরিষদে আসে, এই বলে অপমান করেন ইউএনও।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা চত্বরে যেন ভবিষ্যতে আপনার মুরগী প্রবেশ না করে এবং প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নিবো, আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একদিন আমার মুরগীটি আটকে রেখেছিলেন এই ইউএনও। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।

উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ের পিয়ন লাভলী বেগম বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে মুরগীটা আটকে রাখা হয়েছিলো।

জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, হ্যাঁ আমি মুরগীর মালিককে ডেকেছিলাম, উপজেলা পরিষদের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্যই। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি তাদের উপজেলা পরিষদে মুরগী প্রবেশে জন্য নিরুৎসাহিত করেছি মাত্র।

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বিষয়টি ছোট, তবে দুঃখজনক। মুরগীর মালিক সহ মহল্লাবাসী আমার নিকট এসেছিলেন। আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবো।