গতকাল সোমবার কুমারখালীর কয়া সুলতানপুর মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ৪জন ছাত্রী স্কুলের ছাদে উঠে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ কেন স্কুলে এসে সিগারেট খেয়েছে তাও আবার মেয়ে শিক্ষকের এমন প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার কারণে শিক্ষকরা মেয়েদের স্কুল ব্যাগ রেখে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং পরের দিন অভিভাবক সহ স্কুলে আসার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এই ৪জন মেয়ের মধ্যে জিনিয়া খাতুন নামে একটি মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। জিনিয়ার পরিবারের দাবি শিক্ষিকদের মানুষিক নির্যাতনে জিনিয়া আত্নহত্যা করে।
শিক্ষক এবং এলাকাবাসীর দাবি- জিনিয়ার অভিভাবকের শাসনের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে আত্নহত্যা করেছে।
আজ জিনিয়ার লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ গোসল শেষে দুপুরে বাড়ির সামনে লাশ রেখে জানাযায় প্রস্তুতি চলছিল এমন সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ রশিদ বিশ্বাস সহ কয়েকজন শিক্ষক জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য লাশের পাশে এসে নিহত জিনিয়ার নানা ও কয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার গাজীরুলের সাথে কথা বলতে বলতে গাজীরুল মেম্বার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এক পর্যায়ে উপস্থিত জনতা চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়।
উল্লেখ্য গতকাল প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকায় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না।
গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক আঃ রশিদ বিশ্বাসকে কুমারখালী থানা পুলিশ উদ্ধার করে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।