ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসা দখলের চেষ্টায় ব্যবসায়ীকে মারধর ডুমুরিয়ায় নদীর উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  ও নদী খননের দাবীতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে যুব সংগঠন কর্তৃক ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে ৩০ জন কিশোর-কিশোরী পেল সম্মাননা পাইকগাছায় বিএনপি নেতা মুছার বিরুদ্ধে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন ভোলায় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরতে নিষেধ করায় হামলার শিকার স্থানীয়রা জাতীয় পার্টি পিপীলিকা নয়-জাতীয় পার্টি বাজপাখি : মোস্তফা পাংশায় স্বামীর বাড়িতে হামলা, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সহায়তায়- গোয়ালন্দ ইয়ুথ এন্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির বাস্তবায়নে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ভোলায় জামায়াতের নতুন জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইনের শপথ

ঈদে শেরপুরের গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৪৯ বার পঠিত

শেরপুরের গারো পাহাড়ে গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকুপার্ক নামে দুটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়াও আছে পানিহাটা ও রাজারপাহাড়সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। যার নৈসার্গিক দৃশ্য দেখতে সবারই মন চায়। যে কারণে প্রতিটি ঈদসহ নানা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের পছন্দ রয়েছে গারো পাহাড়ের
পর্যটন কেন্দ্র গুলোর প্রতি। আর তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধুয়ামুছা ও রংচং এর কাজ চলছে এবং দর্শনার্থী বরণে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

গারো পাহাড় শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তজুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক, ওয়াটার কিংডম ও প্যারাডোবা, ঝুলন্ত ব্রীজ, রুফওয়ে, জিপলাইনার, ক্যাবলকার, প্যাডেল বোর্ড, সাম্পান
নৌকা, ঝর্ণাধারাসহ আকর্ষনীয় রাইডস। এছাড়া সীমান্তের এপার ও ওপারের পাহাড়গুলোর লুকুচুরি খেলাতো আছেই। দীর্ঘ একমাস রমজান থাকায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল না পর্যটকদের আনাগোনা। সুযোগ পেয়ে প্রকৃতি তার মতো করে নিজেকে গড়ে নিয়েছে। সামনে ঈদে নয়নাভিরাম গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য
দেখতে ছুটে আসবেন দর্শনার্থীরা। সারা দেশ থেকে মানুষ পাহাড়ে আসবেন প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে। মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আসবেন গজনী অবকাশ ও
মধুটিলা ইকুপার্কে। এবারের ঈদে অন্তত অর্ধ লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
এ আশায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ী ও ইজাদাররা।

ইজারাদার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আমাদের যে রাইডস গুলা আছে ঐগুলার বিভিন্ন রং ও ধোয়া মুছা করতেছি। আমরা কিছু রাইডস সংযোজন করেছি। এক মাস বন্ধ থাকায় প্রকৃতিও সুন্দরভাবে সেজেছে। আমরা আশা করছি এবার ঈদে লক্ষধিক দর্শনার্থীর সমাগম হবে পাহাড়ে।

ইজারাদার বাচ্চু মিয়া বলেন,আমরা অবকাশে রাইডসের ব্যবসা করি৷ রোজার মাসে সব বন্ধ ছিলো লোকজন আসে নাই। কয়েকদিন থেকে রাইডস গুলার রং ও ধোয়ামুছার কাজ করেছি। আমরা আশা করতাছি ঈদে আমাদের ভালো আয় হবে।

পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে নতুন নতুন রাইডস সংযোজন হওয়ায় এমনিতেই সৌন্দর্য আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক। এরপর ধুয়ে মুছে রং করে আরো সৌন্দর্য আনা হয়েছে।
এতে এবার ব্যবসা ভালো হবে এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, আমরা প্রায় এক মাস দোকান খুলি নাই। দোকান খুলে দোকানের সব মাল সাজিয়েছিও পরিষ্কার করছি। আর নতুন নতুন মাল তুলছি। ভালো বিক্রি হবে, একমাসে যে বিক্রি করবার পারি নাই তা ওঠে যাবে।

আরেক ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, দোকানে তো শীতের মাল কাপড় ছিলো। শীতের কাপড় তো আর এখন চলবে না তাই গরমের কাপড় তুলতাছি। আশা করি ঈদে ভালো বিক্রি করতে পারবো।

গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ এখানে আনন্দ উপভোগ করতে আসবেন এমন প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্র গুলো নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। গারো পাহাড়ের এসব পর্যটনকেন্দ্র‍গুলোতে নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদেই
আনন্দ উপভোগ করবে দর্শনার্থীরা।

ট্যাগস :

ঈদে শেরপুরের গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩

শেরপুরের গারো পাহাড়ে গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকুপার্ক নামে দুটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়াও আছে পানিহাটা ও রাজারপাহাড়সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। যার নৈসার্গিক দৃশ্য দেখতে সবারই মন চায়। যে কারণে প্রতিটি ঈদসহ নানা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের পছন্দ রয়েছে গারো পাহাড়ের
পর্যটন কেন্দ্র গুলোর প্রতি। আর তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধুয়ামুছা ও রংচং এর কাজ চলছে এবং দর্শনার্থী বরণে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

গারো পাহাড় শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তজুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, ওয়াটার পার্ক, ওয়াটার কিংডম ও প্যারাডোবা, ঝুলন্ত ব্রীজ, রুফওয়ে, জিপলাইনার, ক্যাবলকার, প্যাডেল বোর্ড, সাম্পান
নৌকা, ঝর্ণাধারাসহ আকর্ষনীয় রাইডস। এছাড়া সীমান্তের এপার ও ওপারের পাহাড়গুলোর লুকুচুরি খেলাতো আছেই। দীর্ঘ একমাস রমজান থাকায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল না পর্যটকদের আনাগোনা। সুযোগ পেয়ে প্রকৃতি তার মতো করে নিজেকে গড়ে নিয়েছে। সামনে ঈদে নয়নাভিরাম গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য
দেখতে ছুটে আসবেন দর্শনার্থীরা। সারা দেশ থেকে মানুষ পাহাড়ে আসবেন প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে। মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আসবেন গজনী অবকাশ ও
মধুটিলা ইকুপার্কে। এবারের ঈদে অন্তত অর্ধ লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
এ আশায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ী ও ইজাদাররা।

ইজারাদার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আমাদের যে রাইডস গুলা আছে ঐগুলার বিভিন্ন রং ও ধোয়া মুছা করতেছি। আমরা কিছু রাইডস সংযোজন করেছি। এক মাস বন্ধ থাকায় প্রকৃতিও সুন্দরভাবে সেজেছে। আমরা আশা করছি এবার ঈদে লক্ষধিক দর্শনার্থীর সমাগম হবে পাহাড়ে।

ইজারাদার বাচ্চু মিয়া বলেন,আমরা অবকাশে রাইডসের ব্যবসা করি৷ রোজার মাসে সব বন্ধ ছিলো লোকজন আসে নাই। কয়েকদিন থেকে রাইডস গুলার রং ও ধোয়ামুছার কাজ করেছি। আমরা আশা করতাছি ঈদে আমাদের ভালো আয় হবে।

পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে নতুন নতুন রাইডস সংযোজন হওয়ায় এমনিতেই সৌন্দর্য আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক। এরপর ধুয়ে মুছে রং করে আরো সৌন্দর্য আনা হয়েছে।
এতে এবার ব্যবসা ভালো হবে এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, আমরা প্রায় এক মাস দোকান খুলি নাই। দোকান খুলে দোকানের সব মাল সাজিয়েছিও পরিষ্কার করছি। আর নতুন নতুন মাল তুলছি। ভালো বিক্রি হবে, একমাসে যে বিক্রি করবার পারি নাই তা ওঠে যাবে।

আরেক ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, দোকানে তো শীতের মাল কাপড় ছিলো। শীতের কাপড় তো আর এখন চলবে না তাই গরমের কাপড় তুলতাছি। আশা করি ঈদে ভালো বিক্রি করতে পারবো।

গারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ এখানে আনন্দ উপভোগ করতে আসবেন এমন প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্র গুলো নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। গারো পাহাড়ের এসব পর্যটনকেন্দ্র‍গুলোতে নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদেই
আনন্দ উপভোগ করবে দর্শনার্থীরা।