ঈদকে ঘিরেও উল্লেখযোগ্য চাপ নেই গাবতলি বাস টার্মিনালে
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৫৪ বার পঠিত
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাস কোম্পানিগুলো।তবে এবারের আসন্ন ঈদকে ঘিরে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো চাপ নেই রাজধানীর প্রবেশদ্বারখ্যাত কেন্দ্রীয় গাবতলি বাস টার্মিনালে। কোনো প্রকার ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই অগ্রীম টিকিট কেটে ফিরছেন যাত্রীসাধারনগণ। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীদেরকে অগ্রিম টিকেট দেয়া হবে বলে বা ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার সকালে (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা গেছে, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা কোনো রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই টিকেট কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। তবে যাত্রীদের খুব একটা চাপ না থাকায় একরকম ফাঁকাই দেখা গেলো গাবতলি বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টারগুলো। রাজধানীর গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে দেশের দক্ষিণবঙ্গসহ বিভিন্ন জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোই বেশিরভাগ আসন যাত্রী শুন্য নিয়েই টার্মিনাল ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে।
গাবতলি পরিবহনের আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহনের তত্বাবধানকারী সংগঠন ‘বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন’র তথ্যমতে,গাবতলি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন সড়ক হয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ এর মত বাস চলাচল করে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা ৬০০ টি। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলা থেকে রাজধানীর সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান স্থলপথ হিসেবে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরীঘাট পার হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অতিক্রম করে গাবতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালকেই ব্যবহার করা হতো। একারণেই দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ছিলো রাজবাড়ির দৌলৎদিয়া-পাটুরিয়া ফেরীঘাট। ফলে স্থলপথে ভ্রমনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাথে সাথে গাবতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের গুরুত্বও ছিলো অপরিসীম। তবে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের অব্যাহত ধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ,নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সমগ্র বাঙালি জাতির বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও যানবাহন চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলে গিয়েছে দেশের স্থলপথ ব্যবহারে বহুল তাৎপর্যপূর্ণ এই গাবতলি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের চিরচেনা রূপ। এমনকি আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরেও যাত্রী পরিবহনে উল্লেখযোগ্য চাপ নেই দেশের বৃহৎ এই বাস টার্মিনালে।
এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন,গতবারের মতো এবারের ঈদেও সবাই একেবারে মাসের শেষদিকে যাত্রা শুরু করতে পারেন।সেক্ষেত্রে ১৯ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত টিকিটের বেশি চাহিদা দেখা গেছে।তাছাড়া অনলাইনে ৩০ শতাংশ টিকিট কেনার সুযোগ থাকায় মানুষ সেদিকে বেশি আগ্রহী বলেও জানান তারা।
এবিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইত্তেখার বাপ্পি বলেন,এবারের ঈদে কোনো রকম ঝক্কি-ঝামেলা ও হয়রানী ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবেন সকল যাত্রী সাধারণ। টিকেট সংগ্রহে যেন তাদের কোনো সমস্যা না হয়,কোনো স্বার্থান্বেষী সুবিধাভোগী দুষ্ট চক্র টিকেট কালোবাজারি যেনো না করতে পারে, এমনকি গাবতলী বাস টার্মিনালে যেকোনো ধরনের যাত্রী হয়রানীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবে পুলিশ। এবারের ঈদে যাত্রীসেবা,নিরাপদ ভ্রমণ,সড়কে সকল ধরনের সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা রোধের লক্ষ্যে রাজধানীর সকল বাস টার্মিনালগুলোতে বিশেষ নজর রাখা হবে। এমনকি দেশের সকল সড়কজুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। সেলক্ষ্যে ইউনিফর্ম পরিহিত ও সাদা পোশাকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।