ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি

শেখ সাইদ আহমেদ সাবাব - শেরপুর :
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪৩ বার পঠিত

ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনার এসেছেন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এডিএম শহিদুল ইসলাম। শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই পথচলা শুরু নবনির্বাচিত এই এমপির। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ধাপে ধাপে উঠে এসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাঁচজন প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়ান। সর্বশেষ শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত শহিদুল ইসলাম বিগত ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলার খড়য়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দল থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন চান। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। এলাকায় পোস্টারিং সভা-সমাবেশ ও গেট নির্মাণ করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার পর শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

এডিএম শহিদুল ইসলাম শেরপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। নাইম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ২২৮ ভোট।

এমপি নির্বাচিত হয়ে এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাতারের একজন মানুষ। তৃণমূল মানুষের চাওয়াটাকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।’

ট্যাগস :

ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি

আপডেট সময় : ০৯:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনার এসেছেন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এডিএম শহিদুল ইসলাম। শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই পথচলা শুরু নবনির্বাচিত এই এমপির। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ধাপে ধাপে উঠে এসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাঁচজন প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়ান। সর্বশেষ শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত শহিদুল ইসলাম বিগত ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলার খড়য়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দল থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন চান। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। এলাকায় পোস্টারিং সভা-সমাবেশ ও গেট নির্মাণ করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার পর শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

এডিএম শহিদুল ইসলাম শেরপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। নাইম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ২২৮ ভোট।

এমপি নির্বাচিত হয়ে এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাতারের একজন মানুষ। তৃণমূল মানুষের চাওয়াটাকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।’