আশ্বিনে ঝরছে শ্রাবনের বারিধারা
- আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮৯ বার পঠিত
ঋতু বৈচিত্রোর লীলাভূমি বাংলার চিরায়ত রুপ বদলে যেন আষাঢ় -শ্রাবনকেও হার মানিয়েছে আশ্বিনের বারিধারা।
এ সময়ের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রংপুরের নিম্নাঞ্চল। পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগে ৮১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দ পুরে।
এ বিষয়ে রংপুরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন,গত ২৪ ঘন্টার রংপুর বিভাগে হওয়া ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি পাতের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আরো দু- দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর কামাল কাছনা,মাহিগঞ্জ,বোতলা,নিউ জুম্মাপাড়া,পূর্ব জুম্মাপাড়া,তাজহাট,বাবুপাড়া,কামারপাড়া,কলাবাড়ি দর্শনা,মর্ডান মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন মহল্লা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা,মূলাটোল,মেডিকেল পাকার মাথা ও জলকর সহ বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার পান দোকানি সুমন বলেন,পাড়ার মোড়ে ছোট্ট একটি পানের দোকান চালিয়ে সংসার চলে। টানা বৃষ্টিতে দোকান খোলা সম্ভব হয়নি।
বাবুখাঁ এলাকার রিকশা চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, একদিন রিকশা নিয়ে বের হতে না পারলে দেনা বেড়ে যায়। শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বাহিরে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে,রিকশা বন্ধ করে ঘরে বসে দিনপার করছি।
ককরুল এলাকার স্বপ্না রানী জানায়,রাত থেকে মুষল ধারে বৃষ্টি হয়েছে।নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন,এখন ধানের মৌসুম,এই বৃষ্টি ধানের জন্য খুবই উপকারী। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবজি ক্ষেতে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে,যা পানি নেমে যাওয়ার পর বোঝা যাবে।