ঢাকা জেলার আশুলিয়ার বাইপাইল নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শ্রমিক মেজবাহুল (১৭) হত্যাকান্ডের মূলহোতাসহ ৩জন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল।
রবিবার (২৪আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।
এর আগে শনিবার (২৩ আগষ্ট) আশুলিয়ার বাইপাইল নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাদের গ্রেফাতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো জয়পুর হাট জেলার মোঃ ইয়াসিন আরাফাত (২২), বরগুনা জেলার তামিম আকন (১৮),এবং ফরিদপুর জেলা মুন্না মুন্সি (১৯)।
নিহত মেজবাহুল (১৭) আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকায় পরিবারসহ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে একটি প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করতো।
র্যাব জানায়, গত ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখ সকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া নবীনগর টু চন্দ্রা মহাসড়কের রাস্তার পূর্ব পাশে কাঠ বাগানের ভিতর একটি অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় (গত ২৩ আগস্ট) আশুলিয়ার বাইপাইল নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শ্রমিক মেজবাহুল হত্যাকান্ডের মুলহোতাসহ ৩ জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা এবং চাকুরীর সুবাদে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। আসামীরা উক্ত এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম মেজবাহুল'কে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী আসামীরা গত ৩০ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখের বিকালে ভিকটিম মেজবাহুল (১৭) কে বেড়ানোর কথা বলে নিজ বাসা হতে ডেকে নিয়ে তার ফোন হতে ভিকটিমের পরিবারের নিকট মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপনের টাকা না পাওয়ায় তারা ভিকটিমকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।