ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি আপনাদের কথা শোনার জন্য, পরে যা বললেন : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বিজিবির হাতে ১০ বোতল মদ জব্দ ছোটদের বড় নির্বাচন গোয়ালন্দে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা- যমুনার বাল্কহেডে চাঁদা বাজি, আটক ৫ দেবহাটায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ যেনো ব্যাবসায়ীদের নেশায় পরিনত হয়েছে বালিয়াকান্দিতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার: আগামীকাল খানসামায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

আশুলিয়ার আরিফ হত্যার মূলহোতা সহ গ্রেপ্তার ৪

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ১৩৪ বার পঠিত

 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) র‍্যাব জানায় গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১.০০ টার সময় আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভিতর বিবস্ত্র একটি লাশ পাওয়া যায়। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে জানা যায় যে, মৃত ভিকটিমের নাম আরিফ হোসেন (১৯) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বাজরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে।

সে কালিয়াকৈরের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি পোশাক রং তৈরির কারখানায় চাকুরি করতো। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বাসপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ও সম্ভব্য স্থানে খোঁজা খুঁজি করে। না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার বিকেলে নিহত আরিফের ফুফু জানতে পারে যে আশুলিয়া থানা অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষনিক নিহতের ফুফু আশুলিয়া থানায় এসে অজ্ঞাতনামা লাশটি আরিফ (১৯) কে সনাক্ত করে। ভিকটিমের বড় ভাই অজ্ঞাতনামা আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‍্যাব-৪ আরিফ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে তৎক্ষণাৎ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আরিফ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ হত্যা কান্ডে সম্পৃক্ত মূলহোতা রাজশাহী জেলার সেন্টু সরদার (৩৫), সহ দিনাজপুর জেলার মোঃ জমির উদ্দিন (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার রাব্বি আহম্মেদ (২৪), ও টাঙ্গাইল জেলার মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৫), কে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী সেন্টু সরদার এর সাথে গাজীপুরের একটি গামের্ন্টসে চাকুরীর করার সুবাদে মৃত ভিকটিম আরিফ (১৯) এর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে আরিফ গামের্ন্টস এ চাকুরী পাওয়ার জন্য সেন্টুর সাথে যোগাযোগ করে। তখন সেন্টু সরদার (ভুয়া জিএম) জমির উদ্দিন এর মোবাইল নম্বর দেয় ও তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। মৃত ভিকটিম আরিফ জমির উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করিলে জমির উদ্দিন গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার আশুলিয়া এলাকায় দেখা করার জন্য বলেন। ধৃত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ও সুকৌশলে আরিফ (১৯) কে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভিতর নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আরিফ (১৯) এর মুখ চেপে ধরে ও পরিহিত প্যান্ট খুলে হাত-পা বেধে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। আরিফ টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় ও ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে আসামীরা আরিফের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আরিফ এর মৃত নিশ্চিত করার পর লাশটি কবরস্থানের নির্জন এলাকায় ফেলে তারা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা এই ঘটনার সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

ট্যাগস :

আশুলিয়ার আরিফ হত্যার মূলহোতা সহ গ্রেপ্তার ৪

আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) র‍্যাব জানায় গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১.০০ টার সময় আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভিতর বিবস্ত্র একটি লাশ পাওয়া যায়। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে জানা যায় যে, মৃত ভিকটিমের নাম আরিফ হোসেন (১৯) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বাজরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে।

সে কালিয়াকৈরের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি পোশাক রং তৈরির কারখানায় চাকুরি করতো। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বাসপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ও সম্ভব্য স্থানে খোঁজা খুঁজি করে। না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার বিকেলে নিহত আরিফের ফুফু জানতে পারে যে আশুলিয়া থানা অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষনিক নিহতের ফুফু আশুলিয়া থানায় এসে অজ্ঞাতনামা লাশটি আরিফ (১৯) কে সনাক্ত করে। ভিকটিমের বড় ভাই অজ্ঞাতনামা আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‍্যাব-৪ আরিফ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে তৎক্ষণাৎ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আরিফ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ হত্যা কান্ডে সম্পৃক্ত মূলহোতা রাজশাহী জেলার সেন্টু সরদার (৩৫), সহ দিনাজপুর জেলার মোঃ জমির উদ্দিন (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার রাব্বি আহম্মেদ (২৪), ও টাঙ্গাইল জেলার মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৫), কে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী সেন্টু সরদার এর সাথে গাজীপুরের একটি গামের্ন্টসে চাকুরীর করার সুবাদে মৃত ভিকটিম আরিফ (১৯) এর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে আরিফ গামের্ন্টস এ চাকুরী পাওয়ার জন্য সেন্টুর সাথে যোগাযোগ করে। তখন সেন্টু সরদার (ভুয়া জিএম) জমির উদ্দিন এর মোবাইল নম্বর দেয় ও তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। মৃত ভিকটিম আরিফ জমির উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করিলে জমির উদ্দিন গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার আশুলিয়া এলাকায় দেখা করার জন্য বলেন। ধৃত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ও সুকৌশলে আরিফ (১৯) কে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভিতর নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আরিফ (১৯) এর মুখ চেপে ধরে ও পরিহিত প্যান্ট খুলে হাত-পা বেধে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। আরিফ টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় ও ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে আসামীরা আরিফের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আরিফ এর মৃত নিশ্চিত করার পর লাশটি কবরস্থানের নির্জন এলাকায় ফেলে তারা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা এই ঘটনার সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।