ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন

মাসুদুর রহমান রুবেল-সাভার (ঢাকা):
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পঠিত

টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়, এরপর আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিব হাওলাদার( ৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

এঘটনায় গোপনে ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

রোববার (১৫ই আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বাইপাইল আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের হল রুমে মামলা করা হলেও রাকিব হাওলাদার গ্রেপ্তার না হওয়া ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ভুক্তভোগী নারী। এব্যাপারে গাজীপুর জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (১ঌ৫/২৪)করেন তিনি।

অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার ভোলা জেলার বাংলাবাজার থানার বৈরাগী উত্তর দিঘলদী গ্রামের মোজাম্মেল হক হাওলাদার ছেলে। সে বর্তমানে আশুলিয়ার বাইপাইল একটি ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানার পিকআপ চালক হিসেবে কাজ করে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, এপ্রিলে দিকে টিকটকের মাধ্যমে রাকিবের সাথে যোগাযোগ হয়। বেশ কিছু দিন পর দেখা হয় তাদের মধ্যে। তখন তারা বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্ত বিয়ে না করে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে বার বার বিয়ের কথা বলা হলেও সে বিয়ের বিষয়ে এড়িয়ে যায়। ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের কিছু ভিডিও ধারণ করে রাখে সে। সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে অনেক বার ধর্ষণ করে। বার বার অনুরোধ করেও ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করেনি। উল্টো যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এছাড়া আবাসিক হোটেলে দেখা না করলে আত্মীয় স্বজনের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিয়ের কথা বলা হলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি দিতো। কোন উপায় না পেয়ে, বিভিন্ন মানুষের সাহায্য চেয়ে না পেয়ে থানায় যাওয়া হয়। কিন্ত সেখানে কোন সমাধান না পেয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। কিন্ত এখনও আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এছাড়া মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এই নারীকে আমি চিনি। কিন্তু তার সাথে আমার এ ধরনের কোন সম্পর্কটা নাই। সে আমাকে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হয়রানি করছে । আমি ঢাকার বাহিরে রয়েছি আমি আপনাদের সাথে দেখা করব আমি বিস্তারিত জানাবো।

আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়, এরপর আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিব হাওলাদার( ৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

এঘটনায় গোপনে ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

রোববার (১৫ই আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বাইপাইল আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের হল রুমে মামলা করা হলেও রাকিব হাওলাদার গ্রেপ্তার না হওয়া ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ভুক্তভোগী নারী। এব্যাপারে গাজীপুর জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (১ঌ৫/২৪)করেন তিনি।

অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার ভোলা জেলার বাংলাবাজার থানার বৈরাগী উত্তর দিঘলদী গ্রামের মোজাম্মেল হক হাওলাদার ছেলে। সে বর্তমানে আশুলিয়ার বাইপাইল একটি ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানার পিকআপ চালক হিসেবে কাজ করে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, এপ্রিলে দিকে টিকটকের মাধ্যমে রাকিবের সাথে যোগাযোগ হয়। বেশ কিছু দিন পর দেখা হয় তাদের মধ্যে। তখন তারা বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্ত বিয়ে না করে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে বার বার বিয়ের কথা বলা হলেও সে বিয়ের বিষয়ে এড়িয়ে যায়। ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের কিছু ভিডিও ধারণ করে রাখে সে। সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে অনেক বার ধর্ষণ করে। বার বার অনুরোধ করেও ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করেনি। উল্টো যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এছাড়া আবাসিক হোটেলে দেখা না করলে আত্মীয় স্বজনের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিয়ের কথা বলা হলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি দিতো। কোন উপায় না পেয়ে, বিভিন্ন মানুষের সাহায্য চেয়ে না পেয়ে থানায় যাওয়া হয়। কিন্ত সেখানে কোন সমাধান না পেয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। কিন্ত এখনও আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এছাড়া মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এই নারীকে আমি চিনি। কিন্তু তার সাথে আমার এ ধরনের কোন সম্পর্কটা নাই। সে আমাকে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হয়রানি করছে । আমি ঢাকার বাহিরে রয়েছি আমি আপনাদের সাথে দেখা করব আমি বিস্তারিত জানাবো।