ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফুফুর পরিবার কর্তৃক ভাতিজা হাফিজুর রহমানের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শনিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) আলফাডাঙ্গা উপজেলা টগরবন্ধ ইউনিয়নে বড়বাগ গ্রামের কাজী পাড়া শেখ ফজলুর রহমানের'র মেজ ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (৪০) উপর চালায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন,হামলাকারীরা হলেন ফুফাতো ভাই মো. ইমরান হোসেন (২২),মো. মশিউর রহমান(৪২),তার স্ত্রী বর্না বেগম ও ছেলে প্লাবন, ফুপাতো বোন চামেলি বেগম,ও তার ছেলে পার্থ।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন মোঃ হাফিজুর রহমান পাশ্ববর্তী উপজেলা কাশিয়ানী বাজারে মোবাইল ফোনের লোড ব্যবসা করেন। আনুমানিক রাত সাড়ে ১০ টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসলে।ঐ রাতে ফুফাতো ভাই বোনেরা তার ঘরের পাশে পাটকাঠিতে আগুন দিয়ে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে হাফিজুর রহমান ঘর থেকে বের হলে ফুফুতো ভাই বোনেরা সকলে মিলে আমার উপর লোহার হাতুরি,রড,হকি স্টিক,বাঁশে লাঠি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় এবং ডান চোখের ভেতর আঙ্গুল ঢুকাইয়া চোখ উঠানোর চেষ্টা করে। ঘরের মধ্যে হাফিজুর রহমান কে আটকে রেখে বাহিরে তালা দিয়ে রাখে। প্রতিবেশী কাজী মফিজুরকে ফোন করে জানালে, তিনি ওয়ার্ড মেম্বর আজম খা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামরুল, গ্রাম্য মাতবর কাজী জাফর হোসেনকে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা জন্য পাঠিয়ে দেন।
চোখে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে হাফিজুর বলেন,আমার বাবা চাকুরী সুবাদে বাহিরে থাকায় আমাদের জমি থেকে বঞ্চিত করেছে। কয়েক বছর হলো বাড়িতে এসেছি একটা বিল্ডিং দিয়েছি। তারপর থেকে শুরু হয় আমাদের পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন ও জুলুম। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য গত ৬/৭ মাস পূর্বে থানার একটা জিডি করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, বিবাদী মোঃ ইমরান হোসেন নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বিবাদী মোঃ ইমরান হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, হাফিজুরের বাবা আমার নানার পালক সন্তান। জোর করে বসত ভিটা দখল করে নেয়,তারপর থেকে আমাদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে।পূর্বে একবার আমাদের উচ্ছেদের জন্য আগুন দেয়, এবারও নিজে ষড়যন্ত্রের করে আগুন দেয়।এ সব ব্যাপারে মা জিজ্ঞেসা করলে মাকে গালিগালাজ ও আঘাত করে পরে মারামারি বেধে যায়। আমাদের উপর এ সব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।