দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চেয়েছেন। সেই নির্বাচনকে কিছু কুলাঙ্গার প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ধরণের কথা বলছেন। ভোট কেটে নিয়ে যাবে, এমন কথাও শুনছি। আমি হুশিয়ারি করে বলে দিতে চাই, আমার ভোটের গাঁয়ে কেউ হাত দিলে আমার জনগণ নেমে নেবে না। তারা প্রতিহত করবে।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মাদরাসা গট্টি মোড়ে মো. কাসেম মাতুব্বরের বাড়িতে নির্বাচনী ওঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সালথা-নগরকান্দার সন্তান। এই এলাকার মাটিতে আমার নাড়ি পুতা রয়েছে। আমি কারো ভাই, কারো বন্ধু ও কারো আত্মীয়। তাই আপনারা জাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়ায় আমি যেন নির্বাচিত হতে পারি। আমি নির্বাচিত হয়ে এলাকার নিপীড়িত ভাগ্যহারা মানুষের সেবা করতে চাই। জামাল মিয়া বলেন, সন্ত্রান, মাদক, ভাড়াটিয়া ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুক্ত সালথা-নগরকান্দা গড়তে ঈগল মার্কায় ভোট দিন। ঈগল মার্কা জিতলে সালথা-নগরকান্দার নির্যাতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ মুক্তি পাবে।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেনের সভাপতিত্বে ওঠান বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান মোল্লা,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, আনোয়ার হোসেন মিয়া, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আলী, যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি পাবেল রায়হান, ইউপি সদস্য নুরু মাতুব্বর, ইব্রাহিম মোল্যা, ডাঃ কামরুল ইসলাম
আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদ হোসেন,দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি এনায়েত হোসেন চানমিয়া প্রমূখ। বৈঠকে হাজারো নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বুধবার বিকেলে নাগারদিয়া কলেজ মাঠে খেলা উদ্বোধন করেন জামাল হোসেন মিয়া। পরে বিকাল ৪টায় পুড়াপাড়া ইউনিয়নের গুনাপাড়া গ্রামে ও রাত ১০ টায় রামনগর ইউনিয়নে আকমাল মেম্বারের বাড়িতে ওঠান বৈঠক করেন তিনি।