ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে গারো পাহাড়

শেখ সাইদ আহমেদ সাবাব- শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৭ বার পঠিত

দেশীয় গাছ রোপণে আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়। এক সময় গারো পাহাড় বিভিন্ন প্রাণির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত
থাকলেও বৃক্ষ নিধনে সেই সুনাম নষ্ট হয়ে যায়।
তবে সুফল প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়গুলো আবারও পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।

গারো পাহাড় এক সময় বন্য হাতি, বাঘ, হরিণ, বন্য শুকর, বনমুরগী, অজগর সাপসহ বিভিন্ন প্রাণিও বৃক্ষের অভয়ারণ্য ছিল। ৯০ এর দশকে সামাজিক বনায়নের নামে আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করে ধ্বংস করা হয় পশু-পাখিদের এই আবাসস্থল।

ভুল বুঝতে পেরে পাহাড়ি বনাঞ্চল সংরক্ষণের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বিষয়টি মাথায় রেখে তিন বছর আগে ১ হাজার হেক্টর জমিতে বিশ্বব্যাংকের
অর্থায়নে টেকসই বনায়ন জীবিকায়ন—সুফল প্রকল্পের আওতায় রোপণ করা হয় দেশীয় ফল এবং ঔষধি গাছ। এরই মধ্যে প্রকল্পটির ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখন ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসতে শুরু করেছে। বন্য শুকর, বানর ও বড় বড় সাপও এখন দেখা যায়।

সুফল প্রকল্পের ফলে বনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আবারও আগের মত বন্য প্রাণি ও পাখিরা ফিরে আসবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুরের বালিজুরি রেঞ্জের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে বন্য পশু–পাখির তেমন কোনো আনাগোনা ছিল না। এখন সাপ, বন্য
শুকর, বানর, হরিণসহ বিভিন্ন ধরনের পাখির সমারোহ ঘটছে।

রবিউল ইসলাম বলেন, সুফল বাগান হওয়াতে এ এলাকায় ফলের চাহিদা, ঔষধি গাছের
চাহিদা, আয়ুর্বেদিক ঔষধি গাছের চাহিদা মিটবে। উপকার ভোগীরাও বেশ সুবিধা
পাবে।

ময়মনসিংহ বিভাগের বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আগের বনায়নের
পরিকল্পনায় পশু-পাখিদের খাবার ও আবাসের জায়গা ধ্বংস হয়েছিল। তবে এখন
বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করায় বনের পরিবেশ আগের থেকে ভালো হচ্ছে।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ৩০ থেকে ৩১ রকমের বাগান করার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর
আবাসস্থল উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে গারো পাহাড়

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশীয় গাছ রোপণে আবারও জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়। এক সময় গারো পাহাড় বিভিন্ন প্রাণির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত
থাকলেও বৃক্ষ নিধনে সেই সুনাম নষ্ট হয়ে যায়।
তবে সুফল প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়গুলো আবারও পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে।

গারো পাহাড় এক সময় বন্য হাতি, বাঘ, হরিণ, বন্য শুকর, বনমুরগী, অজগর সাপসহ বিভিন্ন প্রাণিও বৃক্ষের অভয়ারণ্য ছিল। ৯০ এর দশকে সামাজিক বনায়নের নামে আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করে ধ্বংস করা হয় পশু-পাখিদের এই আবাসস্থল।

ভুল বুঝতে পেরে পাহাড়ি বনাঞ্চল সংরক্ষণের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বিষয়টি মাথায় রেখে তিন বছর আগে ১ হাজার হেক্টর জমিতে বিশ্বব্যাংকের
অর্থায়নে টেকসই বনায়ন জীবিকায়ন—সুফল প্রকল্পের আওতায় রোপণ করা হয় দেশীয় ফল এবং ঔষধি গাছ। এরই মধ্যে প্রকল্পটির ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখন ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসতে শুরু করেছে। বন্য শুকর, বানর ও বড় বড় সাপও এখন দেখা যায়।

সুফল প্রকল্পের ফলে বনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আবারও আগের মত বন্য প্রাণি ও পাখিরা ফিরে আসবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুরের বালিজুরি রেঞ্জের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে বন্য পশু–পাখির তেমন কোনো আনাগোনা ছিল না। এখন সাপ, বন্য
শুকর, বানর, হরিণসহ বিভিন্ন ধরনের পাখির সমারোহ ঘটছে।

রবিউল ইসলাম বলেন, সুফল বাগান হওয়াতে এ এলাকায় ফলের চাহিদা, ঔষধি গাছের
চাহিদা, আয়ুর্বেদিক ঔষধি গাছের চাহিদা মিটবে। উপকার ভোগীরাও বেশ সুবিধা
পাবে।

ময়মনসিংহ বিভাগের বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আগের বনায়নের
পরিকল্পনায় পশু-পাখিদের খাবার ও আবাসের জায়গা ধ্বংস হয়েছিল। তবে এখন
বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করায় বনের পরিবেশ আগের থেকে ভালো হচ্ছে।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ৩০ থেকে ৩১ রকমের বাগান করার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর
আবাসস্থল উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।