আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ১২:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬১ বার পঠিত
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর নির্মানের মাধ্যমে জমি দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী।
ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা আমার ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বজলুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৬/৩/১৯৮৮ সালে আমি আমার শশুর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত বসির আহমেদ এর কাছ থেকে এওয়াজ নামার মাধ্যমে দলিল নেই। যাহা জেলা ভোলা, উপজেলা ভোলা, তৌজি নং-৩০ জে,এল নম্বর-৪২, মৌজা- বাপ্তা মধ্যে, এস.এ ২৭৩৩ নম্বর খতিয়ানে ৫২৪৭ দাগে অবস্থিত। জমির পাশ্বে ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়াম সীমানা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি জমি ভোগ দখল করে আসতেছি। কিন্তু ২০১৩ সালে আমি এবং আমার পাশ্বর্বতী মোঃ লাল মিয়া জমিতে সীমানা প্রাচিরের কাজ করতে গেলে ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ আমদের বাধা প্রদান করে। আমাদের জমি তাদের বলে দাবি করলে, ৭/৩/২০১৩ তারিখে ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং আমদের জমি সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা সরজমিনে পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারনের জন্য জেলা প্রশাসক ভোলা এর বরাবর আবেদন করি। আবেদনের ফলে সরকারি সার্ভেয়ার সরজমিনে পরিমাপ করে, দাগের সীমানা চিহ্নিত করে ২১/৪/২০১৩ তারিখে আমাদের বুঝিয়ে দেন। আমরা আমাদের সীমানায় পুনরায় কাজ করতে গেলে, ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক রাগের বসবতি হয়ে আবারও বাধা প্রধান করে। এমতাবস্থায় আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে মৌখিক ভাবে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সরজমিনে পরিমাপ করে, দাগের সীমানা চিহ্নিত করার ব্যপারে জানালে, তিনি তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন মহোদয়কে দায়িত্ব দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন মহোদয় ৫২৪৭ দাগে যারা জমি কিনেছেন তাদের এবং ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল আলম (লিটন) সহ সকলকে জমির কাগজের ছায়ালিপি দাখিল করার জন্য চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করেন। আমরা জমির কাগজের ছায়ালিপি দাখিল করলেও, ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জমির কাগজের ছায়ালিপি দাখিল না করায় বারবার তাগিদ দেন। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর তাগিদ সত্তেও ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের জমির কোন কাগজের ছায়ালিপি দাখিল না করার কারনে, কোন সমাধান না পেয়ে আমরা মোঃ লাল মিয়া ১নং এবং আমি বজলুর রহমান ২নং বাদি হয়ে ২০১৯ সালে ১৪/০৭/২০১৯ তারিখে দেং নং ২২১/২০১৯ মোকাম ভোলা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা রুজু করি। ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ আদালতে কোন কাগজ দাখিল না করিলে, ০৩/১০/২০২১ তারিখে আমরা মোকাম ভোলা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিগ্রী দাবীতে আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত ০৩/১০/২০২১ তারিখে অন্তর্বতীকালীন স্থিতিবস্থা (ঝঃধঃঁংয়ঁড়) বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। বিগত ২৫/০৮/২৩ তারিখে ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্দেশে প্রকল্প প্রকৌশলীদের সহোযগিতায় এবং প্রকল্প প্রকৌশলী নাজিমউদ্দিন এবং রফিকুল ইসলাম ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান রানা-অর্ক (জেভি), বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা (ঝঃধঃঁংয়ঁড়) বজায় রাখার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের সীমানা ভেঙ্গে গজনবী ষ্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচির নির্মান শুরু করে। যাহা আদালত অবমাননার সামীল। গত ২৭/০৮/২০২৩ তারিখ জেলা প্রশাসক বরাবর স্বিতিবস্থা বজায় রাখা প্রসঙ্গে আবেদন করলে কাজটি বন্ধ রাখে। ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের জমির কোন কাগজের ছায়ালিপি দাখিল না করার কারনে ০৫/০৯/২০২৩ তারিখে একতরফা বিচারের তারিখ ছিলো। ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা সভাপতি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ব্যস্থতার কারন উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে কাগজ জমা দিতে পারেন নাই বলে জনান। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমা রুজু করার পর থেকে আজ অবদি ২১টি তারিখ মোক্কদমা পরিচালিত হয় এবং ৩ জন জেলা প্রশাসক মহোদয় দায়িত্ব পালন করেছেন। এর র্পূবেও ২০১৭ সালে ভূমি অফিসে জমির কোন কাগজের ছায়ালিপি দাখিল করেন নাই। ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কতৃপক্ষ মাননীয় জেলা প্রশাসক এর ব্যস্ত থাকার কারন দেখিয়ে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সময় প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ আদালত সময় প্রার্থনা মঞ্জুর করে। আমরাও চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিগ্রী দাবীতে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করি, বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ওহাবংঃরমধঃরড়হ করার জন্য একজন আইনজিবিকে নিয়োগ করেন। তিনি গত ১৪/৯/২০২৩ তারিখে সরজমিনে এসে তদন্ত করেন। কিন্তু হটাৎ গত ১৭/৯/২০২৩ তারিখে তরিগরি করে আবারও বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচির নির্মান শুরু করে। পূর্বে আমরা বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা (ঝঃধঃঁংয়ঁড়) এর কথা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জানাই তখন কাজ বন্ধ রাখে কিন্তু পূনরায় কাজ শুরু করতে গেলে আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি প্রধান করে। যেখানে ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং এর সভাপতি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় যিনি জেলার আইন রক্ষাকারী প্রথম ব্যাক্তি সেখানে আমাদের দখলে থাকা জমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচির নির্মান করার মাধ্যমে বেদখল করা হচ্ছে কার স্বার্থে।
ক্রীড়া সংস্থা বা সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠানের জমির প্রয়োজন হলে সরকারী নিয়ম তান্ত্রিক অনুযায়ী জমির ফয়সালা বা শুরাহ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামে কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা, বাংলাদেশের আইন এবং বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের সীমানা ভেঙ্গে তাদের সীমানা প্রাচির নির্মান শুরু করে ব্যক্তি আক্রোশের মনোভাবে, আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করতে শুরু করে। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা সরজমিনে তদন্ত করলেও দেখতে পারবেন। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমরা আমাদের মালিকানা জমি পাওয়া দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গজনবী ষ্টেডিয়ামের পূবের সীমানা প্রাচির আমাদের মালিকানা সম্পত্তি থেকে কিছুদূরে অবস্থিত। সম্প্রতি আমাদের নির্মানাধীন সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে আমাদের মালিকানা সম্পত্তিতে, বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলা গজনবী ষ্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচির নির্মান কার স্বার্থে এটিই আপনাদের মাধ্যমে আমাদের প্রশ্ন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা ভোলার উন্নয়ন চাই, ক্রীড়া অঙ্গনের প্রচার চাই, আমরা আমাদের নতুন প্রজম্মের জন্য আধুনিক ষ্টেডিয়াম নির্মান এর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু ষ্টেডিয়াম কর্তপক্ষ জোরপূর্বক দখল নেওয়ার কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য এবং ইহার সুষ্ঠ সমাধান আইনের মাধ্যমে হওয়ার জন্য আপনাদের সহানুভুতি ও সাহায্য কামানা করছি।