বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধের ২য় দিনে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কে একটি মালবাহী ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সদরের বাঘোপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, মহাস্থান থেকে আসার পথে অটোরিক্সায় ৭ থেকে ৮জন যুবক এসে হঠাৎ ট্রাকটি দাঁড় করায়। তাদের বাধায় ট্রাকটি রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। এসময় তাদের হাতে থাকা পেট্রোল ট্রাকে এবং এর ভেতরে থাকা চালক ও তার সহকারীর গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন দেয়। তখন চালক ও তার সহকারী ট্রাক থেকে নেমে দৌড় দেয়।
ট্রাকে আগুন দেয়ার বিষয়ে ট্রাক চালকের সরকারি মোঃ শাওন ইসলাম জানান, ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে ফাউন্ড্রি শিল্পের কাচামাল (জাহাজের ভাঙা লোহা) নিয়ে মঙ্গলবার মহাস্থানে এসে পৌছায়। বুধবার মহাস্থান থেকে পল্লীমঙ্গলে কারখানায় যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা অটোরিকশায় কিছু যুবক ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে অগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
উল্লেখ্য যে, অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ সরাসরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে পুলিশ বা বিএনপি নেতাকর্মীরা কেউ হতাহত হয়নি।
এরপরে সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের তিনমাথা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া এ এলাকায় অন্তত ১০ রাউন্ড গ্যাসগান ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের এক পাশে বিজিবি পুলিশ অন্য পাশে অবরোধকারীরা অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিজিবি টহল শুরু করে। শুরু হয় সংঘর্ষ। নিক্ষেপ করে কয়েক রাউন্ড গ্যাসগান। এসময় বিক্ষোভকারীরা ৪ চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এক পর্যায়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় অবরোধকারীরা। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় যানবাহন চলছে রাস্তায়। পুলিশ পাহাড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহন পার করে দেওয়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় অবরোধকারীদের তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেই ব্যবস্থা হবে।