ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষকে দমিয়ে রাখা যায়না, ইচ্ছাশক্তি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ,কদর্মতলী গ্রামের মোঃ জসিম মাতুব্বর তারই প্রমান।
২ হাত নাই,দুই হাত না থাকলেও সে জীবন চলার পথে থেমে থাকার মানুষ না, তিনি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি তার নিজ প্রচেষ্টায় পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাস করেন।
তার পিতা হানিফ মাতুব্বর কৃষিকাজ করেন তার পক্ষে তার ছেলের পড়ালেখার খরচ চালাতে কষ্ট হতো,কিন্তু তাতেও জসিম মাতুব্বর থেমে থাকিনি তিনি স্থানীয় একটি বাজারের দোকানে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করতো কাজ করা কালীন তিনি ২০২৩ সালে ফরিদপুর সিটি কলেজ থেকে জিপিএ ৪. ২৯ নিয়ে এইচ এস সি পাশ করেন।
তালমা নাজিমউদ্দীন হাইস্কুল থেকে ২০২০ সালে এস, এস সি পাশ করেন।
কিন্তু টাকার অভাবে তার পড়ালেখা চালাতে অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
কিন্তু তার এই অসম্ভবকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে যাচ্ছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান।
তার এই কষ্টের কথা শুনে তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার বিকালে মোঃ জসিম মাতব্বরের গ্রামের বাড়িতে যান। তার সাথে তিনি দেখা করেন তার পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছাত্র লীগের সভাপতি তামজিদুল রশীদ চৌধুরী রিয়ান নেন৷ তার এই ঘোষণা শুনে জসিম মাতব্বর আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এই বিষয় জানতে ফরিদপুর জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি তামজিদুল রশীদ চৌধুরী রিয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিদিনের খবরকে বলেন, যে মোঃ জসিম মাতব্বরের ২ হাত নাই, পা দিয়ে লিখে ৪.২৯ পেয়ে এইচ এস সি পাশ করেছে।
সে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে ।আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচায় রাখে আজ থেকে জসিমের পড়াশোনার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব আমি নিলাম।
আশা করি এই জসিম একদিন এ দেশের জন্য বড় সম্পদ হবে ইনশাআল্লাহ। জসিমের সাথে কথা বলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পেরে আমি নিজেকে প্রথমে কিছুটা সার্থক মনে করছি ।
পুরোপুরি সার্থক হবো যেই দিন জসিম পড়ালেখা শেষ করে তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের জন্য কাজ করবে।