ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মিঠাপুকুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট

রুবেল হোসাইন সংগ্রাম- রংপুর ব্যুরো:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ১৯০ বার পঠিত

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা বড়বালা ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৯ আগষ্ট) রাত তিনটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় বেলাল কসমেটিক্স আরিফুল ভ্যারাইটি ষ্টোর ও মামুন কম্পিউটারের দোকানসহ মোট চারটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী দ্রুত মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন অনেকাংশেই নেভানো হয় । পরে অগ্নি নির্বাপক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রায় আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ততক্ষণে চারটি দোকানের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কেশবপুর বাজারের মৃত-শফিকুল ইসলামের ছেলে হাফেজ বেলাল হোসাইন। রেফ্রিজারেটর টিভি সহ প্রসাধনী ও ভ্যারাইটি স্টোরের দুটি দোকানের তার প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবং আরিফুল ষ্টোর ও মামুন কম্পিউটারের পিসি কম্পিউটার ও টিভি ফ্রিজসহ দোকানের প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে,বেলাল হোসাইনের খালু আমিরুল ইসলাম বলেন,“ সে ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে এতিম একটা ছেলে। তাঁর স্বামীহারা মা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার মায়ের যেটুকু জমানো টাকা ছিলো তা এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাজারে কসমেটিক্স ও মুদিখানার দোকান দেয় সে। অসহায় ছেলেটার হঠাৎ এরকম ভাবে সব শেষ হয়ে গেল”।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরু মিয়া জানান, “আমি এই বাজারে হোটেলে কাজ করি। প্রতিদিনের ন্যায় সমস্ত কাজ শেষ করে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ কি রকম যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম আমার পাশেই বেলালের দোকান এসে দেখি আগুন লেগেছে। পরে সবাইকে ডাকাডাকি ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি”।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর ফায়ার স্টেশন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,“ আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং আমাদের দুটি ইউনিটের প্রায় আধা ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে”।

ট্যাগস :

মিঠাপুকুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট

আপডেট সময় : ০৩:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা বড়বালা ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৯ আগষ্ট) রাত তিনটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় বেলাল কসমেটিক্স আরিফুল ভ্যারাইটি ষ্টোর ও মামুন কম্পিউটারের দোকানসহ মোট চারটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী দ্রুত মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন অনেকাংশেই নেভানো হয় । পরে অগ্নি নির্বাপক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রায় আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ততক্ষণে চারটি দোকানের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কেশবপুর বাজারের মৃত-শফিকুল ইসলামের ছেলে হাফেজ বেলাল হোসাইন। রেফ্রিজারেটর টিভি সহ প্রসাধনী ও ভ্যারাইটি স্টোরের দুটি দোকানের তার প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবং আরিফুল ষ্টোর ও মামুন কম্পিউটারের পিসি কম্পিউটার ও টিভি ফ্রিজসহ দোকানের প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে,বেলাল হোসাইনের খালু আমিরুল ইসলাম বলেন,“ সে ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে এতিম একটা ছেলে। তাঁর স্বামীহারা মা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার মায়ের যেটুকু জমানো টাকা ছিলো তা এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাজারে কসমেটিক্স ও মুদিখানার দোকান দেয় সে। অসহায় ছেলেটার হঠাৎ এরকম ভাবে সব শেষ হয়ে গেল”।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরু মিয়া জানান, “আমি এই বাজারে হোটেলে কাজ করি। প্রতিদিনের ন্যায় সমস্ত কাজ শেষ করে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ কি রকম যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম আমার পাশেই বেলালের দোকান এসে দেখি আগুন লেগেছে। পরে সবাইকে ডাকাডাকি ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি”।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর ফায়ার স্টেশন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,“ আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং আমাদের দুটি ইউনিটের প্রায় আধা ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে”।