ভোলায় জেলেদের মাঝে বৈধ জাল বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১০:৩০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ৭৯ বার পঠিত
মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (এসসিএমএফপি), কম্পোনেন্ট-৩ এর আওতায় সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর বাস্তবায়নে ভোলা সদর উপজেলায় নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বৈধ জাল বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় ধনিয়া ইউনিয়নের দড়িরাম শংকর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতিতে এ জাল বিতরণী অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বৈধ জাল বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আহম্মেদ আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভোলা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। ভোলা সদর ক্লাস্টার এর ক্লাস্টার অফিসার মোঃ মোস্তফা এর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেবাশীষ কুন্ডু, ভোলা জেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, ভোলা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহিন মাহমুদ, ৬নং ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদ হোসেন কবির। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল হাসনাইন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর ক্লাস্টারের সিএফ মোঃ রুহুল আমিন, সৌমিক হাসান, পশ্চিম বালিয়াকান্দি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির সভাপতি সভাপতি মোঃ বশির মাঝি ও দড়িরাম শংকর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির সভাপতি মোঃ শহীদ মাঝি সহ প্রায় দুই শতাধিক জেলে পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় জেলেদের মাঝে বৈধ জাল বিতরণ করছে সরকার। আজ দুটি গ্রামের মোট ২৭ জন জেলা এই বৈধ জাল পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলে এই বৈধ জাল পাবেন বলে তারা আশ্বস্ত করেন। তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন আমরা আশা করব আগামী দিনগুলোতে জেলেরা অবৈধ কারেন্টাল ব্যবহার করবে না এবং নদীতে নিষেধাজ্ঞা চলমান অবস্থায় তারা মাছ শিকারে নদীতে নামবে না।
উল্লেখ্য ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন ও কাচিয়া ইউনিয়নে মোট ১০টি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতি গঠন করা হয়। যার সদস্য সংখ্যা নিবন্ধিত জেলে ১১৫১ জন। উক্ত গ্রাম সমিতি গুলোর অবকাঠামো সহ মান উন্নয়নে ও ছেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন ফান্ডে অর্থ প্রদান করা হয়। উক্ত গ্রাম সমিতির মাধ্যমে জেলে পরিবারের ৮৫৬ জন যুব সদস্যদের আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ প্রজেক্ট এর অধীনেই ১২৯ জন যুবক ও ৯৬ জন যুবতী কে যুব প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ৬৪ জন পুরুষ এবং ৪২ জন নারীর। গ্রাম উন্নয়ন অব কাঠামোর অংশ হিসেবে গ্রামগুলোতে ৬৬ টি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। দশটি গ্রামের মধ্যে মডেল ভিলেজের বিভিন্ন নীতিমালা পূরণ হওয়ায় ইতিমধ্যে দুটি গ্রাম কে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হলো দড়িরাম শংকর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতি ও পশ্চিম বালিয়াকান্দি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতি।