পূর্ব সুখাতী খেরবাড়ি এলাকায় রমজানেও থেমে নেই মাদক বিক্রি ও সেবন
- আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৮৩ বার পঠিত
পুলিশের ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযান সফল হওয়ার পরেও,তবুও চোরাইপথে আসছে গাঁজাসহ বিভিন্ন রকম মাদকদ্রব্য। এরই ধারাবাহিকতায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন, পূর্ব সুখতি খেরবাড়ী এলাকায়, সুখাতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যেনিকেতনের পিছনে , দীর্ঘদিন ধরে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। পাশাপাশি মরণব্যাধি মাদক সেবনে আসক্ত হচ্ছে এলাকার উঠতি বয়সের বিভিন্ন পরিবারের ছেলেরা। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে অবাধে গাঁজাসহ বিভিন্ন রকম মাদকদ্রব্য।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সন্দেহভাজন মাদক কারবারি ও সেবনকারী বেলালের নাম উঠে এসেছে। সুখাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে বাদাম বিক্রেতা মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র বেলাল হোসেন। এলাকার বিভিন্ন উঠতি বয়সের এবং বহিরাগত ছেলেদের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় তার বাড়িতে। রাত ৯ টার পরেই প্রাইমারি স্কুলের মাঠ, হাই স্কুল মাঠে আগুনের ফুলকি ও ধোয়ার দৃশ্য লক্ষ্য করার মতো।
এলাকার সচেতন মহল ও যুব সমাজের মধ্যে রেজাউল কবীর মিলন, পূর্বসূতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজালাল মোল্লা, শামসুল আলম ভান্ডার, রুহুল আমিন, প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন, আক্তার হোসেন সহ এলাকার অভিভাবকগণ বলেন, শুধু হাই স্কুলের পিছনে বেলাল নয়, যারা মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িত তাদের সকলকেই প্রতিহত করার এখনই সময়। নইলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোনভাবেই মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও, চিহ্নিত মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, ঈদগাহ মাঠ এবং খেরবাড়ি বাজারের পাশে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। যে কারনে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার পূর্ব সুখাতী খেরবাড়ি হাইস্কুলের পিছনে, মাদক ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সচেতন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপকুমার সরকার বলেন, মাদক সেবনকারী বা মাদক বিক্রেতা যত বড় শক্তিশালী হোক, তাকে মাদকবিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি তার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে,রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিশেষ করে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে, এরকম প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসা ও সেবন কোনভাবেই চলতে পারেনা। দ্রুত মাদক বিক্রেতা বেলাল ও তার সহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে, কঠিন শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।