ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

পাইকগাছা-কয়রা সংসদীয় আসনে ভোটের আগেই বইছে ভোটের হাওয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যস্ত

মোঃ ফসিয়ার রহমান-পাইকগাছা (খুলনা):
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ৯১ বার পঠিত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। দলীয় হাইকমান্ডে লবিং এর সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক গণ সংযোগ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। খুলনা -৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদীয় আসনে ভোটের আগেই বইছে ভোটের হাওয়া। ফলে মনোনয়ন প্রত্যসশীদের কাছে দলীয় নেতা কর্মীদের কদর বেড়েছে বহুগুনে।

দেশের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত এ আসনটি হলো খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এ আসনটি দেশের অর্থনিতীতে বেশ অবদান রাখেই চলেছে। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সাদা সোনা খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন হয় এ এলাকায়। জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী সার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়,মাইকেল মধুসূদন দত্তের (জন্মস্থান) মামা বাড়ি, সুসাহিত্যক কাজী ইমদাদুল হক, দানবির রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু, মেহের মুসল্লী, পীর সরল খাঁ, ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক শহীদ এমএ গফুরসহ বিভিন্ন মনীষীর জন্মস্থান হওয়ায় আলাদা একটা গুরুত্ব বহণ করে এ আসনটি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট স, ম বাবর আলী এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভকেট শেখ রাজ্জাক আলী এমপি নির্বাচিত হন। তিনি পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের স্পিকারও নির্বাচিত হন। ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কয়রা আলাদা উপজেলা হলে সীমানা পরিবর্তন হয়ে হয় কয়রা-পাইকগাছা আসনের।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে মোমেন উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জহরুল হক সরদার জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন।১৯৯১ সাল শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, জামায়াতে ইসলামী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বধীনতার পর দ্বিতীয় বারের মত ১৯৯৬ সাল শেখ মোঃ নূরুল হক,আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর পর আবারো ২০০১ সালের নির্বাচনে,জামায়াতে ইসলামির শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস ২য় বার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট সোহরাব আলী সানা এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মোঃ নূরুল হক ২য় বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বাবু এলাকার প্রতিনিধি হয়ে মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

খুলনা-৬ আসনটি এককভাবে কোন রাজনৈতিক দল দখণ করতে পারেনি আজো আওয়ামী লীগ ৬বার, বিএনপি ১বার, জাতীয় পার্টি ২বার, জামায়াত ইসলামি ২বার নির্বাচিত হয়েছে।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা গণসংযোগ করলেও বিএনপি আছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত, জাতীয় পার্টির গণ সংযোগ চলছে ধীর গতিতে আর জামায়াত ইসলামির হয়েছে নিবন্ধন বাতিল।

এ আসনে আওয়ামী লীগের অনন্ত ১২ জন মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গণ সংযোগ করে সরকারের উন্নয়নের প্রচার প্রচারোনা চালিয়ে দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষায়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষায়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শেখ মুহাঃ শহীদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম শফি।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করলেও দলীয় মনোনয়ন নামক সোনার রাজ টিকিট কে পাবে সেটা দেখতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। দলীয় সুত্রে জানাগেছে মনোনয়ন দৌড়ে অনেক প্রতিযোগি হলেও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকেই টিকিট দিবেন তাকেই বিজয়ী করতে সকলে একযোগে কাজ করবে।

পাইকগাছা-কয়রা সংসদীয় আসনে ভোটের আগেই বইছে ভোটের হাওয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যস্ত

আপডেট সময় : ১২:২১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। দলীয় হাইকমান্ডে লবিং এর সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক গণ সংযোগ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। খুলনা -৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদীয় আসনে ভোটের আগেই বইছে ভোটের হাওয়া। ফলে মনোনয়ন প্রত্যসশীদের কাছে দলীয় নেতা কর্মীদের কদর বেড়েছে বহুগুনে।

দেশের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত এ আসনটি হলো খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এ আসনটি দেশের অর্থনিতীতে বেশ অবদান রাখেই চলেছে। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সাদা সোনা খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন হয় এ এলাকায়। জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী সার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়,মাইকেল মধুসূদন দত্তের (জন্মস্থান) মামা বাড়ি, সুসাহিত্যক কাজী ইমদাদুল হক, দানবির রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু, মেহের মুসল্লী, পীর সরল খাঁ, ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক শহীদ এমএ গফুরসহ বিভিন্ন মনীষীর জন্মস্থান হওয়ায় আলাদা একটা গুরুত্ব বহণ করে এ আসনটি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট স, ম বাবর আলী এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভকেট শেখ রাজ্জাক আলী এমপি নির্বাচিত হন। তিনি পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের স্পিকারও নির্বাচিত হন। ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কয়রা আলাদা উপজেলা হলে সীমানা পরিবর্তন হয়ে হয় কয়রা-পাইকগাছা আসনের।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে মোমেন উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জহরুল হক সরদার জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন।১৯৯১ সাল শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, জামায়াতে ইসলামী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বধীনতার পর দ্বিতীয় বারের মত ১৯৯৬ সাল শেখ মোঃ নূরুল হক,আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর পর আবারো ২০০১ সালের নির্বাচনে,জামায়াতে ইসলামির শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস ২য় বার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট সোহরাব আলী সানা এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ মোঃ নূরুল হক ২য় বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বাবু এলাকার প্রতিনিধি হয়ে মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

খুলনা-৬ আসনটি এককভাবে কোন রাজনৈতিক দল দখণ করতে পারেনি আজো আওয়ামী লীগ ৬বার, বিএনপি ১বার, জাতীয় পার্টি ২বার, জামায়াত ইসলামি ২বার নির্বাচিত হয়েছে।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা গণসংযোগ করলেও বিএনপি আছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত, জাতীয় পার্টির গণ সংযোগ চলছে ধীর গতিতে আর জামায়াত ইসলামির হয়েছে নিবন্ধন বাতিল।

এ আসনে আওয়ামী লীগের অনন্ত ১২ জন মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গণ সংযোগ করে সরকারের উন্নয়নের প্রচার প্রচারোনা চালিয়ে দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষায়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষায়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শেখ মুহাঃ শহীদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম শফি।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করলেও দলীয় মনোনয়ন নামক সোনার রাজ টিকিট কে পাবে সেটা দেখতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। দলীয় সুত্রে জানাগেছে মনোনয়ন দৌড়ে অনেক প্রতিযোগি হলেও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকেই টিকিট দিবেন তাকেই বিজয়ী করতে সকলে একযোগে কাজ করবে।