ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ববরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খানসামায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় আপন মেজ ভাইকে খুনের ঘটনায় নেশাখোর ছোট ভাই সোহান গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় সালথায় আনন্দ মিছিল আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও’কে  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা প্রদান  সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের বাড়িতে আগুন দিল প্রতিপক্ষ বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই

পাইকগাছায় নার্সারী ব্যবসায় যুবক আফসারের ভাগ্যবদল

মোঃ ফসিয়ার রহমান- পাইকগাছা (খুলনা):
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ১৫৫ বার পঠিত

খুলনার পাইকগাছায় নার্সারী ব্যবসা করে সফল হয়েছেন নার্সারী ব্যবসায়ী আফসার আলী গাজী। তিনি উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের পীর আলী গাজীর ছেলে।

২০০৫ সালে মাত্র ১৫ হাজার টাকা পুজি নিয়ে দুই কাঁঠা জমিতে কলম চারা তৈরি শুরু করেন। পরে আরো দেড় বিঘা জমিতে নার্সারী সম্প্রসারণ করেন তিনি। ২০১৩ সালে নার্সারি ব্যবসায় লস হওয়ায় এ ব্যবসা ছেড়ে মুদি দোকানি শুরু করেন আফসার। দোকানে বাকির কারনে সে ব্যবসা ছাড়তে হয় তার। ২০১৫ সালে মুদি দোকান ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যান পার্শবর্তী দেশ ভারতে। সেখানে তিনি আবারো নার্সারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

২০১৭ সালে ভারত থেকে ফিরে এসে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন কলম চারা তৈরির নার্সারি ব্যবসা। ব্যবসা ভালো হওয়ায় অল্প দিনে ঋণ শোধ করে সফল ব্যবসায়ী হন আফসার। বাড়তে থাকে তার নার্সারি বাগান।

করোনাকালীন সময়ে আবার নার্সারি ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে। সমস্ত দেশ লকডাউন থাকার কারনে বিপাকে পড়েন আফসারও। বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকার কারণে নার্সারিতে চারার মজুদ বাড়তে থাকে। করোনা পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে ব্যবসা আবারো স্বাভাবিক হতে শুরু করে ।

বর্তমানে তার লীজ নেয়া প্রায় ৮ বিঘা জমিতে জোড় কলম তৈরির নার্সারী ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। তিনি দেশ বিদেশ থেকে বীজ ও চারা সংগ্রহ করে নিজে মাতৃ বাগান তৈরি করছেন।

সঠিক জাত নির্বাচনের পর সেখান থেকে কলম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা কলম সরবরাহ করে থাকেন। বর্তমানে তার নার্সারিতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কলম চারা রয়েছে বলে জানান আফসার। তার নার্সারীতে ১৫জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আফসারের নার্সারী ব্যবসার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হয়ে উঠছেন নার্সারী ব্যবসায়।

মেসার্স রাহাদ নার্সারিতে ভিয়েতনাম ও ক্যারালার নারিকেল ও সুপারি চারা রয়েছে। তার নার্সারিতে দেশি-বিদেশি জাতের পেয়ারা, বেদানা, কমলা, আমড়া, শরিফা, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা, সফেদা, কুল, কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেতুল, চালতা, লিচু, কদবেল, লটকন, আমের জাতের মধ্যে হাঁড়িভাঙা, ল্যাঙড়া, আমরুপালি, হিম সাগর, ফজলি, গৌরমতি, কাঠিমণ, বারি-৪, বেনানা ম্যাঙ্গো, চিয়াংমাই, ব্রুনাই কিং, মিয়াজাকি, ডগমাই, সহ প্রায় সকল জাতের আমের চারা রয়েছে।

আঠাহীন কাঁঠাল, থাই লঙ্গন, রুবি লঙ্গন, এবোকাডো, কাজু বাদাম, রক্ত চন্দন, শ্বেত চন্দন, হরিমন আপেল, পেপে, হাইব্রিড সজিনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ঔষধী,ফুল, ফলজ ও বনজ গাছের চারা কলম পাওয়া যায় তার নার্সারীতে।

পাইকগাছায় নার্সারী ব্যবসায় যুবক আফসারের ভাগ্যবদল

আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

খুলনার পাইকগাছায় নার্সারী ব্যবসা করে সফল হয়েছেন নার্সারী ব্যবসায়ী আফসার আলী গাজী। তিনি উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের পীর আলী গাজীর ছেলে।

২০০৫ সালে মাত্র ১৫ হাজার টাকা পুজি নিয়ে দুই কাঁঠা জমিতে কলম চারা তৈরি শুরু করেন। পরে আরো দেড় বিঘা জমিতে নার্সারী সম্প্রসারণ করেন তিনি। ২০১৩ সালে নার্সারি ব্যবসায় লস হওয়ায় এ ব্যবসা ছেড়ে মুদি দোকানি শুরু করেন আফসার। দোকানে বাকির কারনে সে ব্যবসা ছাড়তে হয় তার। ২০১৫ সালে মুদি দোকান ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যান পার্শবর্তী দেশ ভারতে। সেখানে তিনি আবারো নার্সারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

২০১৭ সালে ভারত থেকে ফিরে এসে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন কলম চারা তৈরির নার্সারি ব্যবসা। ব্যবসা ভালো হওয়ায় অল্প দিনে ঋণ শোধ করে সফল ব্যবসায়ী হন আফসার। বাড়তে থাকে তার নার্সারি বাগান।

করোনাকালীন সময়ে আবার নার্সারি ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে। সমস্ত দেশ লকডাউন থাকার কারনে বিপাকে পড়েন আফসারও। বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকার কারণে নার্সারিতে চারার মজুদ বাড়তে থাকে। করোনা পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে ব্যবসা আবারো স্বাভাবিক হতে শুরু করে ।

বর্তমানে তার লীজ নেয়া প্রায় ৮ বিঘা জমিতে জোড় কলম তৈরির নার্সারী ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। তিনি দেশ বিদেশ থেকে বীজ ও চারা সংগ্রহ করে নিজে মাতৃ বাগান তৈরি করছেন।

সঠিক জাত নির্বাচনের পর সেখান থেকে কলম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা কলম সরবরাহ করে থাকেন। বর্তমানে তার নার্সারিতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কলম চারা রয়েছে বলে জানান আফসার। তার নার্সারীতে ১৫জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আফসারের নার্সারী ব্যবসার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হয়ে উঠছেন নার্সারী ব্যবসায়।

মেসার্স রাহাদ নার্সারিতে ভিয়েতনাম ও ক্যারালার নারিকেল ও সুপারি চারা রয়েছে। তার নার্সারিতে দেশি-বিদেশি জাতের পেয়ারা, বেদানা, কমলা, আমড়া, শরিফা, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা, সফেদা, কুল, কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেতুল, চালতা, লিচু, কদবেল, লটকন, আমের জাতের মধ্যে হাঁড়িভাঙা, ল্যাঙড়া, আমরুপালি, হিম সাগর, ফজলি, গৌরমতি, কাঠিমণ, বারি-৪, বেনানা ম্যাঙ্গো, চিয়াংমাই, ব্রুনাই কিং, মিয়াজাকি, ডগমাই, সহ প্রায় সকল জাতের আমের চারা রয়েছে।

আঠাহীন কাঁঠাল, থাই লঙ্গন, রুবি লঙ্গন, এবোকাডো, কাজু বাদাম, রক্ত চন্দন, শ্বেত চন্দন, হরিমন আপেল, পেপে, হাইব্রিড সজিনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ঔষধী,ফুল, ফলজ ও বনজ গাছের চারা কলম পাওয়া যায় তার নার্সারীতে।