পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লুু আটা দিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ডাকাতির ঘটনায় মামলা, সন্ধেহে আটক-১
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৬৭ বার পঠিত
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লুু আটা দিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ডাকাতি ঘটনায় দুই দিন পর অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় সন্দিগ্ধ একজনকে আটক করেছে। এলাকায় থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা টহল জোরদার করেছে। নির্যাতিতা গৃহিণী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী রবিবার গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বোরহানপুর এলাকায় স্বামী বাড়িতে না থাকার সূযোগে গাছ বেয়ে ৪/৫ জনের সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল সিড়ি ঘর থেকে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় গৃহিণী যাতে চিৎকার দিতে না পারে বা ডাকাতদের চিনতে পারে সেজন্য তার হাত-পা বেঁধে চোখে-মুখে সুপার গ্লু জাতীয় আঁঠা লাগিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। তার কানে থাকা দুল ছিড়ে নেয়ায় কানের লতি ও নাকে -মুখে আঘাত করে ঘরে রক্ষিত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় গৃহিণীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ঐ এলাকায় থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্ধেহে আবুল সরদারের ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৮) এলাকা থেকে আটক করে। ঘটনার দুই দিন পর নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার নাং ১৩/২৪।
নির্যাতিতার স্বামী জানান, ভিকটিমের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সম্পুর্ন সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্থ থাকা ও খুলনা থেকে এত দুরে এসে মামলা করা অনেক সময়ের ব্যাপার বলে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সন্ধেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।আসামী সনাক্তের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এলাকায়,থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগে সদস্যরা তদারকী অব্যাহত রেখেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।