পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় রেমারের আক্রমণে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি পানিবন্ধী সহস্রাধিক পরিবার
- আপডেট সময় : ০২:১৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ৪৬ বার পঠিত
পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর আক্রমনে বিভিন্ন এলাকায় ওয়াপ্দার বাঁধ ভেঙ্গে ও উপছে জোয়ারের পানিতে বিস্তৃন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যাতে চিংড়ি ঘের ফসিল জমি, বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দেয়া তথ্য মতে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে গড়ইখালী, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, লতা ও রাড়ুলী ইউনিয়নে অবস্থিত কপোতাক্ষ নদ ও শিবসা নদীর কয়েকটা এলাকার ওয়াপ্দার বাঁধ ভেঙ্গে পানি ভিতরে প্রবেশ করে। যাতে এসব এলাকার চিংড়ি ঘের তলিয়ে একাকার হয়েগেছে। সম্পন্ন বিদ্ধস্থ ৮৩১টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৪১০টি বাড়ি ঘর। আক্রান্ত হয়েছে ১৫৭২২০ জন মানুষ। ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেলুটী ইউনিয়নের তেলিখালী, কালী নগর, দারুনমল্লীক,গেওয়াবুনিয়া, জিরবুনিয়া, পার মধুখালি, চকরিবকরী এলাকার ১৫টি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধী, গড়ইখালী ইউনিয়নের খুদখালী ও গড়ইখালী বাজার এলাকা ওয়াপ্দার বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে । লতা ইউনিয়নের কাঠামারী, গদারডাঙ্গা, বামনেরাবাদ, হালদার চক, পুতলাখালী, বাইনচাপড়া, পুটিমারি, পানারাবাদ এলাকায় ওয়াপ্দার বাঁধ ভেঙ্গে ও উপছে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কপিলমুনি ইউনিয়নের তালতলা, রাড়ুলী ইউনিয়নের জেলে পল্লী, সোলাদানা ইউনিয়নের সোলাদানা বাজার, বেতবুনিয়া আবাসন এলাকা, নুনিয়াপাড়া, পশ্চিম কাইনমুখি, আমুর কাটা এলাকা ঘূর্ণি ঝড় রেমাল এর আক্রমনে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহেরা নাজনীন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রায় নেওয়া লোকসহ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সহোযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।