নাগেশ্বরী পৌর এলাকায় শিক্ষক কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮১ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড মধুর হাইল্যা গ্রামে, মৃত সিফাত আলীর পুত্র মনতাজ আলী বেপারী (৬৫) ও তার ছেলে নুর আলম মাস্টার(৫০) সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য বলে জানা যায়। অভিযোগকারী পশ্চিম সানজুয়ার ভিটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাফিজুর রহমান (৪৩)। ভুক্তভোগী নুর আলমের ভাগ্নে হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও আজ বড় অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা কাগজ ছাড়াই গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে, জমি দখলে রেখেছে।
জমির কাছে গেলেই লাঠি সোঠা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারতে আসে। ওরা টাকা পয়সা ওয়ালা লোক, এজন্য তারা এলাকার কোনো শালিশ মানতে চায় না। বরং সব সময় হুমকি দিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী হাসিনা বেওয়া, মোছাঃ শাহজাদী বেগম ও নুর আলম বলেন, মনতাজ আলী বেপারী তার ছেলে নুর আলম মাস্টার ও তাদের পরিবারের সবাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের অনেক জমি তারা দখল করে খাচ্ছে কাগজ ছাড়া। অনেক বিচার সালিশ হয়েছে, কিন্তু তারা কখনোই কাগজ দেখাতে পারেনি। তারা আরও বলেন, তারা বিচার সালিশও মানেনা আবার জমির কাগজও দেখাতে পারেনা। অনেক ধৈর্য ধরার পর শেষ পর্যন্ত আমাদের বসতভিটার পাশের আবাদি জমিতে গাছের চারা লাগিয়েছি। এখন আমাদের লাগানো গাছের চারা উপরে ফেলে আবারও দখলের চেষ্টা করছে।
প্রকাশ থাকে যে, মামলা নং ৪২/১০ ফুলবাড়ী কোট, মামলার ১ নং বাদী মোঃ নুরুল হক মামলা চলাকালীন, দীর্ঘ ১১ বছর থেকে নিখোঁজ। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দাবি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, আমাদের যে উকিল কাজ করে, সেই উকিলকে তারা টাকা দিয়ে থামিয়ে রাখে।
ভুক্তভোগীরা বলে, নুর আলম মাস্টার ও তার বাবা মনতাজ আলী বেপারী ছাড়াও তাদের পরিবারের সকলেই আমাদের অনেক জমি দলিল ছাড়া দখলে রেখেছে,সেগুলোর মামলা চলছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি ধামকির পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র হাতে মোহরা দিচ্ছে। বিষয়াদি গুলো স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানাইয়া, তাহাদের পরামর্শে নাগেশ্বরী থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পেশ করেছি। অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয়রা মনে করেন, প্রশাসন ও এলাকাবাসী মিলে একটা সুরাহা করলে সবার জন্য ভালো হবে। তা না হলে দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা মনে করেন।