নড়াইলের লোহাগড়ায় লিটন হত্যা মামলার আসামি জাকির হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ১১:২২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৫ বার পঠিত
নড়াইলের লোহাগড়ায় ভাঙ্গড়ি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে লিটন হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি গত ২৯ আগস্ট হতে ০১ সেপ্টেম্বর ০৬.০৫ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
নিহত লিটন হোসেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার নিজদেবপুর গ্রামের মুজিবর রহমান ঢালীর ছেলে বলে জানা গেছে।
ওই ঘটনার দিন আসামি জাকির হোসেন মোল্যা ও ভিকটিম লিটন হোসেনের মধ্যে ভাঙ্গড়ি বিক্রির ৭ শত বা ১ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
তারই জেরে লোহাগড়া পৌরসভার খেয়াঘাট এলাকার জনৈক মোঃ মোস্তফা শেখ, পিতা-মৃত ইসাহাক শেখ এর তিনতলা ভবনের নিচে নবগঙ্গা নদীর দক্ষিণপাড়ে তারা অবস্থানকালে দুজনের মাঝে বাক বিতন্ডের সৃষ্টি হয়।
বাকবিতন্ডের একপর্যায়ে আসামি মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা (২৭) পিতা: মো: আলাউদ্দিন মোল্যা,গ্রাম: রামপুর, থানা: লোহাগড়া, জেলা: নড়াইল ভিকটিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আসামির কাছে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের পেটে গুরুতর জখম করলে উক্ত স্থানেই লিটন হোসেন মৃত্যুবরণ করে।
ভিকটিম কে ঘটনাস্থলে রেখে আসামি চলে যায় এবং ০২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে।স্থানীয় মেম্বার এর মাধ্যমে পুলিশ ভিকটিমের পরিবার’কে খবর দিলে তার পিতা-মাতা এসে সন্তানের পরিচয় সনাক্ত করে এবং লোহাগড়া থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি হত্যা মামলার রুজু হয়।
নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন এর নির্দেশনায় লোহাগাড়া থানা পুলিশ মামলার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর রাতে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ মামুনুর রহমান’সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে উক্ত হত্যা মামলার মূল আসামি মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা’কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরে ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আসামি মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা’কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
হত্যা মামলার আসামি জাকির এ-র নামে লোহাগড়া থানায় পূর্বে ১ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন ।