ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

নকলায় শিশু ধর্ষণ ঘটনার ১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আল-আমিন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

শেখ সাইদ আহমেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ৯১ বার পঠিত

শেরপুরের নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আল-আমিন (৩২) কে ১৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪। বুধবার (২৪ মে)দিবাগত রাতে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।

আল আমিন নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।
আজ ২৫মে দুপুরে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

র‍্যাব সূত্র জানায়, ভিকটিম নকলা উপজেলার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। মোঃ আল-আমিন পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা।২০১০ সালের মার্চের ১৮ তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ী ফেরার পথে অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে হতে ২০০ গজ পূর্বে পাঁকা রাস্তার কালভার্টের নিকট পৌছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আল-আমিন ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরিয়া জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে দৌড়ে পালিয়ে যায় আল আমিন। ধর্ষণের পর ভিকটিম কাঁদিতে কাঁদিতে বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট উক্ত ঘটনা জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আবু সাঈদ নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা রুজু হয়(মামলা নং-০৯, তারিখ-১৮/০৩/২০১০ ইং )।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ১৮ মার্চে মোঃ আল-আমিন (৩২) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ আল-আমিন দীর্ঘ ১৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে র‍্যাব -১৪ কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক বুধবার দিবাগত রাত নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা হতে মোঃ আল-আমিনকে তার আত্মীয়ের বাসা হতে আটক করে। ধৃত আসামীকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

ট্যাগস :

নকলায় শিশু ধর্ষণ ঘটনার ১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আল-আমিন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

শেরপুরের নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আল-আমিন (৩২) কে ১৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪। বুধবার (২৪ মে)দিবাগত রাতে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।

আল আমিন নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।
আজ ২৫মে দুপুরে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

র‍্যাব সূত্র জানায়, ভিকটিম নকলা উপজেলার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। মোঃ আল-আমিন পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা।২০১০ সালের মার্চের ১৮ তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ী ফেরার পথে অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে হতে ২০০ গজ পূর্বে পাঁকা রাস্তার কালভার্টের নিকট পৌছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আল-আমিন ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরিয়া জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে দৌড়ে পালিয়ে যায় আল আমিন। ধর্ষণের পর ভিকটিম কাঁদিতে কাঁদিতে বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট উক্ত ঘটনা জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আবু সাঈদ নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা রুজু হয়(মামলা নং-০৯, তারিখ-১৮/০৩/২০১০ ইং )।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ১৮ মার্চে মোঃ আল-আমিন (৩২) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ আল-আমিন দীর্ঘ ১৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে র‍্যাব -১৪ কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক বুধবার দিবাগত রাত নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা হতে মোঃ আল-আমিনকে তার আত্মীয়ের বাসা হতে আটক করে। ধৃত আসামীকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাগেছে।