দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি,নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আপডেট সময় : ১১:০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫৮ বার পঠিত
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। গরীব- দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,গৃহহীন মানুষের মাথা গোজার ঠাই ছিলনা।তাদের জন্য ৮ লক্ষ ৪০ হাজার গৃহ নির্মান করে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছি। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর একটি পুরনো শহর, কিন্তু সবসময় এটি অবহেলিত ছিল। আমরা সরকারে এসে এর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজটিকে সম্প্রসারিত,শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেবার আধুনিকায়ন আমরাই করেছি। আমি জানি, ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচিত হলে আমরা এটা করে দেবো।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ নেই। আছে শুধু আমার বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি । জিয়া-এরশাদ-খালেদা লুটপাট আর দুর্নীতি করেছে । তাদের সময়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি। শুধু লুটপাট করেছে তারা। আমরা সরকারে এসে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করেছি। তিনি বলেন, খালেদা বলেছিল মাওয়ায় পদ্মাসেতু করা যাবেনা। বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির কথা বলে ষড়যন্ত্র করে টাকা দেয়নি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছি আমরা পারি। আমাদের নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত সেতু আজ দৃশ্যমান। প্রমত্তা পদ্মার উপর নির্মিত সেতু সড়কই নয়, চালু হয়েছে স্বপ্নের রেলপথ। তিনি বলেন, মানুষের কল্যানের জন্য ক্লিনিক, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক আরিফের সঞ্চালনায় এতে সুচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আ,ফ,ম বাহা উদ্দিন নাসিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, শাহজাহান খান এমপি,কৃষিমন্ত্রী আঃ রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ফরিদপুর – ৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এনামুল হক এমপি, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা,স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন । এর আগে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বামনকান্দা নামক স্থানে সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে বিকেল ৩ টার দিকে ডাঃ কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের মঞ্চে এসে পৌছান। জানা গেছে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।এর আগে প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে রেল চলাচল উদ্বোধন করেন। পরে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশনে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছান সমাবেশস্থলে।
সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগে র্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টার জনসভাস্থল প্রদক্ষিণ করে। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা ঘিরে এদিন সকাল থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আসতে শুরু করেন। দুপুরের প্রখর রোদ আর খরতাপ উপেক্ষা করেই তারা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। প্রসঙ্গত পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। মাওয়া অংশের উদ্বোধনের পর ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পরে ভাঙ্গায় জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।