ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

দিনাজপুর বিরামপুরে যমজ তিন ভাই বোন এসএসসিতে পেলো জিপিএ

মোঃওয়াজ কুরনী-দিনাজপুর:
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ ১১২ বার পঠিত

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রায়াগপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী (আদিবাসী) যমজ তিন ভাইবোন জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের এই সাফল্য ইতিমধ্যে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল তারা। তিন ভাইবোন লাসার সৌরভ মুরমু, মেরি মৌমিতা মুরমু ও মারথা জেনিভা মুরমু এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় তারা খুবই খুশি। সেই সাথে সন্তানদের সাফল্যে দেখে আনন্দিত ও খুশির জোয়ারে ভাসছে বাবা জোহানেশ মুরমু ও মা সোহাগিনী হাঁসদা।

২৮ জুলাই, শুক্রবার সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। তিন ভাই বোন একসাথে পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় ওই দিন বিকেলে জোহানেশ-সোহাগিনী দম্পতির বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের ভিড় জমে গেছে।

সবার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। খুশির জোয়ারে ভাসছে তাদের পরিবার। জিপিএ ৫ পাওয়া মেরি মৌমিতা মুরমু বলে, বড় হয়ে সে চিকিৎসক হতে চায়। আরেক বোন মারথা জেনিভাও বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। তবে লাসার সৌরভ প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

বাবা জোহানেশ মূরমূ মা সোহাগিনী হাঁসদা বলেন, যে দিন আমাদের পরিবারে যমজ তিন ছেলে মেয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিল সে দিন আমাদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আজ তারা একসাথে পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় অনেক দিন পর আজ বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমাদের তেমন লেখা পড়া নাই।

সামান্য জ্ঞান দিয়ে আমার তিন ছেলে মেয়েকে সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি। আমার সামান্য আয়ে সংসার চলে। ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে, তাদের খরচ বাড়ছে। তাদের স্বপ্ন পূরণে ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ লাগবে। তাই দেশের সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের পরিবারের জন্য এগিয়ে এলে হয়তো আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন পূরণ হবে।

বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী পরিবার থেকে তিন যমজ ভাই বোন এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পাওয়া খুবই আনন্দের খবর। কৃতী তিনজনের বিষয়ে নতুন ইউএনও এর সঙ্গে কথা বলে অবশ্যই উদ্যোগ নেয়া হবে।

ট্যাগস :

দিনাজপুর বিরামপুরে যমজ তিন ভাই বোন এসএসসিতে পেলো জিপিএ

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রায়াগপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী (আদিবাসী) যমজ তিন ভাইবোন জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের এই সাফল্য ইতিমধ্যে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল তারা। তিন ভাইবোন লাসার সৌরভ মুরমু, মেরি মৌমিতা মুরমু ও মারথা জেনিভা মুরমু এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় তারা খুবই খুশি। সেই সাথে সন্তানদের সাফল্যে দেখে আনন্দিত ও খুশির জোয়ারে ভাসছে বাবা জোহানেশ মুরমু ও মা সোহাগিনী হাঁসদা।

২৮ জুলাই, শুক্রবার সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। তিন ভাই বোন একসাথে পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় ওই দিন বিকেলে জোহানেশ-সোহাগিনী দম্পতির বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের ভিড় জমে গেছে।

সবার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। খুশির জোয়ারে ভাসছে তাদের পরিবার। জিপিএ ৫ পাওয়া মেরি মৌমিতা মুরমু বলে, বড় হয়ে সে চিকিৎসক হতে চায়। আরেক বোন মারথা জেনিভাও বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। তবে লাসার সৌরভ প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

বাবা জোহানেশ মূরমূ মা সোহাগিনী হাঁসদা বলেন, যে দিন আমাদের পরিবারে যমজ তিন ছেলে মেয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিল সে দিন আমাদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আজ তারা একসাথে পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় অনেক দিন পর আজ বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমাদের তেমন লেখা পড়া নাই।

সামান্য জ্ঞান দিয়ে আমার তিন ছেলে মেয়েকে সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি। আমার সামান্য আয়ে সংসার চলে। ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে, তাদের খরচ বাড়ছে। তাদের স্বপ্ন পূরণে ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ লাগবে। তাই দেশের সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের পরিবারের জন্য এগিয়ে এলে হয়তো আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন পূরণ হবে।

বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী পরিবার থেকে তিন যমজ ভাই বোন এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পাওয়া খুবই আনন্দের খবর। কৃতী তিনজনের বিষয়ে নতুন ইউএনও এর সঙ্গে কথা বলে অবশ্যই উদ্যোগ নেয়া হবে।