ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

ডিসির বিশেষ অনুরোধে শ্রীবরদীর ১৪ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ

শেখ সাইদ আহমেদ সাবাব- শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৫ বার পঠিত

শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের বিশেষ অনুরোধে প্রবেশপথ বঞ্চিত শ্রীবরদীর চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষার ১৪ শিক্ষার্থীকে রাতেই প্রবেশ পত্র প্রদান করেছে শিক্ষা বোর্ড। এতে ওইসব পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

১৪ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পেয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী শ্রীবরদী উপজেলার গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল থেকে তার কক্ষে অবরোধ করে রাখেন। এসময় স্কুল মাঠে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। এখবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরের এস.এস.সি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে যায় শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে জানানো হয় তাদের প্রবেশপত্র বোর্ড হইতে আসেনি। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি ও প্রতিবাদ করতে থাকে। জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে রাতে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
পরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারকে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে রাতেই শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষকের হাতে প্রবেশ পত্র হস্তান্তর করা হয়। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ভ্যান চালক আফরোজ আলী তার সন্তান প্রবেশপথ পাওয়ায় খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ডিসি স্যার, বোর্ডের অফিসার ও ইউএনও স্যারদের আল্লাহ ভালো করুক। এমন প্রতিক্রিয়া অন্যান্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

এদিকে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ডিসি স্যারের হস্তক্ষেপে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পরবর্তীতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ যারা এ জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

ডিসির বিশেষ অনুরোধে শ্রীবরদীর ১৪ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের বিশেষ অনুরোধে প্রবেশপথ বঞ্চিত শ্রীবরদীর চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষার ১৪ শিক্ষার্থীকে রাতেই প্রবেশ পত্র প্রদান করেছে শিক্ষা বোর্ড। এতে ওইসব পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

১৪ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পেয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী শ্রীবরদী উপজেলার গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল থেকে তার কক্ষে অবরোধ করে রাখেন। এসময় স্কুল মাঠে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। এখবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরের এস.এস.সি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে যায় শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে জানানো হয় তাদের প্রবেশপত্র বোর্ড হইতে আসেনি। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি ও প্রতিবাদ করতে থাকে। জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে রাতে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
পরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারকে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে রাতেই শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষকের হাতে প্রবেশ পত্র হস্তান্তর করা হয়। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ভ্যান চালক আফরোজ আলী তার সন্তান প্রবেশপথ পাওয়ায় খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ডিসি স্যার, বোর্ডের অফিসার ও ইউএনও স্যারদের আল্লাহ ভালো করুক। এমন প্রতিক্রিয়া অন্যান্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

এদিকে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ডিসি স্যারের হস্তক্ষেপে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পরবর্তীতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ যারা এ জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।