ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

গোয়ালন্দে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে প্রধান শিক্ষক কে অবরুদ্ধ

সাইফুর রহমান পারভেজ-গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঘুষের টাকা ফেরত পেতে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাদের ফকিরকে প্রায় তিনঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্ররা।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকাল সারে ১১ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কোটা বিরোধী ছাত্ররা এই অবস্থান নেয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের রুমে তারা অবস্থান করে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এসময় প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের এক মাসের সময় চেয়ে তিনশো টাকার স্ট্যাম্পে সই করেন।

জানাযায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লার পাড়ার জমেলা খাতুন নামে এক মহিলা তার মেয়ে শিরীন কে ফকির আবদুল কাদের প্রতিষ্ঠিত এফকে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় পাঁচ বছর আগে সাত লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নেন। তারপর তাকে চাকরি দিতে ব্যার্থ হয় এবং টাকা দিতে গড়িমসি করে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে পরিবারটি বিভিন্ন সময় দেন দরবার করলেও টাকা দিতে তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে চেক প্রদান করলেও সেটা ব্যাংকে ডিজঅর্ডার হয়। এএসময় পরিবারটি কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের কাছে এসে জানালে অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা।

পাঁচ বছর ধরে ঘুষের টাকা নিয়ে রাখলেও ফেরত দিতে টালবাহানা এবং একটি চেক দিলে সেটাও ব্যাংকে ডিসওর্ডার হয় এতোদিন ক্ষমতা দেখিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে অসহায় মা গিয়ে কোটা বিরোধী ছাত্র ছাত্রীকে জানালে তারা এসে চাপ দিলে তিনি একমাস পর টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের এর বিরুদ্ধে এর আগে ও শিক্ষকরা মানব বন্ধন করেছে বেতনের জন্য। এছাড়া তার অফিস, শিক্ষকদের কক্ষ সহ প্রতিটি রুমে তার পরিবার সহ বিভিন্ন ধরনের ছবি পাওয়া যায়।

এব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, তার ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
ঘূষ নিয়ে চাকরী দেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অভিযোগ করে এবং তদন্তে সেটা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

গোয়ালন্দে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে প্রধান শিক্ষক কে অবরুদ্ধ

আপডেট সময় : ০২:৫৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঘুষের টাকা ফেরত পেতে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাদের ফকিরকে প্রায় তিনঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্ররা।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকাল সারে ১১ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কোটা বিরোধী ছাত্ররা এই অবস্থান নেয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের রুমে তারা অবস্থান করে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এসময় প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের এক মাসের সময় চেয়ে তিনশো টাকার স্ট্যাম্পে সই করেন।

জানাযায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লার পাড়ার জমেলা খাতুন নামে এক মহিলা তার মেয়ে শিরীন কে ফকির আবদুল কাদের প্রতিষ্ঠিত এফকে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় পাঁচ বছর আগে সাত লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নেন। তারপর তাকে চাকরি দিতে ব্যার্থ হয় এবং টাকা দিতে গড়িমসি করে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে পরিবারটি বিভিন্ন সময় দেন দরবার করলেও টাকা দিতে তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে চেক প্রদান করলেও সেটা ব্যাংকে ডিজঅর্ডার হয়। এএসময় পরিবারটি কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের কাছে এসে জানালে অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা।

পাঁচ বছর ধরে ঘুষের টাকা নিয়ে রাখলেও ফেরত দিতে টালবাহানা এবং একটি চেক দিলে সেটাও ব্যাংকে ডিসওর্ডার হয় এতোদিন ক্ষমতা দেখিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে অসহায় মা গিয়ে কোটা বিরোধী ছাত্র ছাত্রীকে জানালে তারা এসে চাপ দিলে তিনি একমাস পর টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

প্রধান শিক্ষক ফকির আবদুল কাদের এর বিরুদ্ধে এর আগে ও শিক্ষকরা মানব বন্ধন করেছে বেতনের জন্য। এছাড়া তার অফিস, শিক্ষকদের কক্ষ সহ প্রতিটি রুমে তার পরিবার সহ বিভিন্ন ধরনের ছবি পাওয়া যায়।

এব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, তার ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
ঘূষ নিয়ে চাকরী দেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অভিযোগ করে এবং তদন্তে সেটা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।