ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

একসঙ্গে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চমান সহকারী তিনি!

মো: আলা আমিন - জামালপুর :
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪ ২১০ বার পঠিত

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উচ্চমান সহকারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে শফিকুল ইসলামের ডাকনাম লিটন।
তিনি দীর্ঘ দশবছরের অধিক সময় ধরে আশেক মাহমুদ কলেজে কর্মরত, লিটন নামে এক নামে পরিচিত।
অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে ছাত্র বদলী সহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বদলি হয়ে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অনিয়মিত অফিস করছেন তিনি, পাশাপাশি দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কাজ করেন।
এর ফাঁকে তিনি ছাত্র বদলীর কাজ সহ অন্যান্য অনৈতিক সুবিধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বালিকা বিদ্যালয়ে নেই।তার সহকর্মীরাও কিছু জানেন না।
শফিকুল ইসলাম লিটনের এক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লিটন প্রভাতী শাখার প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করলেও তিনি তার ইচ্ছেমতো অফিস করেন। মন চাইলে আসেন, মন চাইলে চলে যান।

বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, শফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে ছুটি নেননি, হয়তো কাউকে বলে ছুটিতে গেছেন।
যোগাযোগ করা হলে শফিকুল ইসলাম লিটন জানান, তিনি ছুটি নিয়ে ঢাকা গিয়েছেন।ছাত্র বদলিতে অর্থ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পুরোপুরি অস্বীকার না করে বলেন,তিনি কারো কাছ থেকে টাকা চেয়ে নেন না।
যে যার মতো ময়মনসিংহে যাতায়াতের খরচ দিয়ে থাকে।
নিয়মিত অফিস না করার বিষয়ে তিনি জানান,এখানে কাজ কম তাই পুরো সময় অফিসে থাকেন না।
তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিনের কর্মস্থল আশেক মাহমুদ কলেজে ফিরে যেতে চেষ্টা করছেন।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে খোঁজ নিতে গিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শিউলি ইয়াসমিন কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, শফিকুল ইসলাম লিটন এই কলেজের প্রধান সহকারী।
দায়িত্বে না থেকেও শফিকুল ইসলামের কলেজে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ।অপরদিকে কলেজের প্রধান সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া মিজানুর রহমান সুমন বলেন,
আমি হিসাব শাখায় কাজ করি। প্রধান সহকারীর কাজের বিষয়টি অধ্যক্ষ স্যারের এখতিয়ার।

ট্যাগস :

একসঙ্গে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চমান সহকারী তিনি!

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উচ্চমান সহকারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে শফিকুল ইসলামের ডাকনাম লিটন।
তিনি দীর্ঘ দশবছরের অধিক সময় ধরে আশেক মাহমুদ কলেজে কর্মরত, লিটন নামে এক নামে পরিচিত।
অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে ছাত্র বদলী সহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বদলি হয়ে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অনিয়মিত অফিস করছেন তিনি, পাশাপাশি দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কাজ করেন।
এর ফাঁকে তিনি ছাত্র বদলীর কাজ সহ অন্যান্য অনৈতিক সুবিধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বালিকা বিদ্যালয়ে নেই।তার সহকর্মীরাও কিছু জানেন না।
শফিকুল ইসলাম লিটনের এক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লিটন প্রভাতী শাখার প্রধান সহকারী হিসেবে যোগদান করলেও তিনি তার ইচ্ছেমতো অফিস করেন। মন চাইলে আসেন, মন চাইলে চলে যান।

বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, শফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে ছুটি নেননি, হয়তো কাউকে বলে ছুটিতে গেছেন।
যোগাযোগ করা হলে শফিকুল ইসলাম লিটন জানান, তিনি ছুটি নিয়ে ঢাকা গিয়েছেন।ছাত্র বদলিতে অর্থ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পুরোপুরি অস্বীকার না করে বলেন,তিনি কারো কাছ থেকে টাকা চেয়ে নেন না।
যে যার মতো ময়মনসিংহে যাতায়াতের খরচ দিয়ে থাকে।
নিয়মিত অফিস না করার বিষয়ে তিনি জানান,এখানে কাজ কম তাই পুরো সময় অফিসে থাকেন না।
তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিনের কর্মস্থল আশেক মাহমুদ কলেজে ফিরে যেতে চেষ্টা করছেন।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে খোঁজ নিতে গিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শিউলি ইয়াসমিন কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, শফিকুল ইসলাম লিটন এই কলেজের প্রধান সহকারী।
দায়িত্বে না থেকেও শফিকুল ইসলামের কলেজে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ।অপরদিকে কলেজের প্রধান সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া মিজানুর রহমান সুমন বলেন,
আমি হিসাব শাখায় কাজ করি। প্রধান সহকারীর কাজের বিষয়টি অধ্যক্ষ স্যারের এখতিয়ার।