ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ববরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খানসামায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় আপন মেজ ভাইকে খুনের ঘটনায় নেশাখোর ছোট ভাই সোহান গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় সালথায় আনন্দ মিছিল আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও’কে  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা প্রদান  সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের বাড়িতে আগুন দিল প্রতিপক্ষ বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই

উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এসআই প্রত্যাহার

রফিকুল ইসলাম রনজু- কুড়িগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৬১ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আইয়ুব আলী অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সাধারণ লোকজনকে থানায় তুলে এনে মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে,মোটা অংকের টাকা দাবী করার অভিযোগে, কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি তদন্ত নাজমুস সাকিব সজীব।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আইয়ুব আলী যোগদানের পর থেকে উপজেলার সাধারণ জনগণের অভিযোগের তীর উঠে তার দিকে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের উপর অহেতুক হয়রানি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় ও দাবি করে আসছেন।

সর্বশেষ ঘটনা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ি এলাকার (ভুরিয়ার কুটি ) গ্রামের মৃত:গমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মজিদুল হক (৫০) এর সাথে তার আপন মামা মোঃ বছির উদ্দিনের পারিবারিক কলহের জের ধরে মামা মোঃ বছির উদ্দিন গত-১৫ (সেপ্টেম্বর) ভাগিনা মজিদুলের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ (সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় মিমাংসা করবে বলে থানার ডেকে পরে বিশ হাজার টাকা দাবি করে পরবর্তী তে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা রফা দফায় গভীর রাতে ছেরে দেয়।

১৮ (সেপ্টেম্বর) আবার মিমাংসার লক্ষ্যে মজিদুল সহ তার আরও দুই ভাইকে ডেকে এনে এনে এক লক্ষ্যে টাকা দাবী করে না দিলে মামলা দিয়ে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিমাংসা করার সিদ্ধান্ত হলে গভীর রাতে ছেরে দেয়। তাতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে ফোন করে টাকা দাবী করে রাজি না হলে আবার ০৩ (অক্টোবর) সকালে মজিদুল কে জুম্মার পাড় নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চালান করিয়ে দিবে বলে থানা হাজতে রাত আটটা পর্যন্ত আটকে রাখে।

বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার কে অবগত করলে তিনি নিজেই অভিযুক্ত এস আই আইয়ুব আলী কে মোবাইল ফোনে মজিদুল কে তুলে আনার বিষয়টি জানতে চান উত্তরে তিনি বলেন সে এজাহার ভুক্ত আসামি সেই কারণে তাকে তুলে আনা হয়েছে বলে জানান। কিন্তূ সারাদিন গিয়ে রাত আটটা অবধি তাকে চালান না দিলে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই অফিসার ইনচার্জ ওর রুমে গিয়ে মামলার কপি চেয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এসময় মামলা কিংবা মামলার কপি দেখাতে না পারায় সবাই বিব্রত অবস্থায় পড়েন ।

শিমুলবাড়ি ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল জানান, এতদিন জেনেছি পুলিশেই জনতা জনতাই পুলিশ কিন্তূ এস আই আইয়ুব আলী তার ব্যতিক্রম। তিনি অন্যায় ভাবে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা মজিদুল হক কে থানা হেফাজতে চৌদ্দ ঘণ্টা আটকে রেখে তার পরে ছেড়ে দেন।

শিমুল বাড়ি ইউনিয়নের মহিলা সদস্যা মোছাঃ লায়লা বেগম জানান, তিনি আমার নিকট ইতিপূর্বে মজিদুলের বিষয়ে মামলা হবে না মর্মে ছয় হাজার টাকা ঘুষ নেন আবারো মঙ্গলবার তাকে অবৈধভাবে ধরে নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারকে জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এসআই প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আইয়ুব আলী অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সাধারণ লোকজনকে থানায় তুলে এনে মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে,মোটা অংকের টাকা দাবী করার অভিযোগে, কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি তদন্ত নাজমুস সাকিব সজীব।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই আইয়ুব আলী যোগদানের পর থেকে উপজেলার সাধারণ জনগণের অভিযোগের তীর উঠে তার দিকে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের উপর অহেতুক হয়রানি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় ও দাবি করে আসছেন।

সর্বশেষ ঘটনা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ি এলাকার (ভুরিয়ার কুটি ) গ্রামের মৃত:গমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মজিদুল হক (৫০) এর সাথে তার আপন মামা মোঃ বছির উদ্দিনের পারিবারিক কলহের জের ধরে মামা মোঃ বছির উদ্দিন গত-১৫ (সেপ্টেম্বর) ভাগিনা মজিদুলের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ (সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় মিমাংসা করবে বলে থানার ডেকে পরে বিশ হাজার টাকা দাবি করে পরবর্তী তে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা রফা দফায় গভীর রাতে ছেরে দেয়।

১৮ (সেপ্টেম্বর) আবার মিমাংসার লক্ষ্যে মজিদুল সহ তার আরও দুই ভাইকে ডেকে এনে এনে এক লক্ষ্যে টাকা দাবী করে না দিলে মামলা দিয়ে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিমাংসা করার সিদ্ধান্ত হলে গভীর রাতে ছেরে দেয়। তাতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে ফোন করে টাকা দাবী করে রাজি না হলে আবার ০৩ (অক্টোবর) সকালে মজিদুল কে জুম্মার পাড় নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চালান করিয়ে দিবে বলে থানা হাজতে রাত আটটা পর্যন্ত আটকে রাখে।

বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার কে অবগত করলে তিনি নিজেই অভিযুক্ত এস আই আইয়ুব আলী কে মোবাইল ফোনে মজিদুল কে তুলে আনার বিষয়টি জানতে চান উত্তরে তিনি বলেন সে এজাহার ভুক্ত আসামি সেই কারণে তাকে তুলে আনা হয়েছে বলে জানান। কিন্তূ সারাদিন গিয়ে রাত আটটা অবধি তাকে চালান না দিলে খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই অফিসার ইনচার্জ ওর রুমে গিয়ে মামলার কপি চেয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এসময় মামলা কিংবা মামলার কপি দেখাতে না পারায় সবাই বিব্রত অবস্থায় পড়েন ।

শিমুলবাড়ি ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল জানান, এতদিন জেনেছি পুলিশেই জনতা জনতাই পুলিশ কিন্তূ এস আই আইয়ুব আলী তার ব্যতিক্রম। তিনি অন্যায় ভাবে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা মজিদুল হক কে থানা হেফাজতে চৌদ্দ ঘণ্টা আটকে রেখে তার পরে ছেড়ে দেন।

শিমুল বাড়ি ইউনিয়নের মহিলা সদস্যা মোছাঃ লায়লা বেগম জানান, তিনি আমার নিকট ইতিপূর্বে মজিদুলের বিষয়ে মামলা হবে না মর্মে ছয় হাজার টাকা ঘুষ নেন আবারো মঙ্গলবার তাকে অবৈধভাবে ধরে নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারকে জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।